কলির কুম্ভকর্ণ ছাড়া এঁকে আর কি বলা যায়? স্ত্রী বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে শুক্রবার রাতে বর্ধমান গিয়েছিলেন। স্ত্রী যাওয়ার পরই সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েন চুঁচুড়ার বড়বাজারের একটি আবাসনের বাসিন্দা রেলকর্মী সৌমেন নিয়োগী। শনিবার সকালে তাঁর কাঁচা ঘুম ভাঙেনি। ওদিকে স্ত্রী বর্ধমান থেকে ফোন করে করে হন্যে। ফোন বেজে যাচ্ছে, কেউ ধরছেনা। বেলা দশটা নাগাদ উদ্বিগ্ন স্ত্রী এক প্রতিবেশী মনোতোষ দত্তকে ফোন করেন।
মনোতোষ বাবু বছর বেয়াল্লিশের সৌমেন বাবুর দরজার বেল টিপে, দরজা ধাক্কা দিয়েও কোনও সাড়া পাননি। ততক্ষনে আবাসনের অন্য লোকেরা জড়ো হয়ে গেছে।
অজানা আতঙ্কে সবাই অস্থির। মনোতোষ বাবুকে পুলিশে খবর দেওয়ার কথা বলেন স্ত্রীই। তিনিও বর্ধমান থেকে রওনা হয়ে চুঁচুড়া পৌঁছান। পুলিশ মিস্ত্রি নিয়ে এসে বাড়ির দরজা ভেঙে যখন বাড়িতে ঢুকছে তখন বারমুডা পরে চোখ কচলাতে কচলাতে বেরিয়ে আসেন সৌমেন বাবু।
দ্রুত মোবাইলের বোতাম টিপে স্ত্রীকে জানানোর চেষ্টা করেন যে, তিনি ১১টায় বের হবেন। পরমুহূর্তে ঘড়ি দেখেন যে বেলা তিনটে বেজে গেছে। ফ্ল্যাট এর বাইরে এত লোক আর পুলিশ দেখে সৌমেন বাবু জিভ কেটে বলেন- ওই, একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর কি! একটু ঘুমিয়ে পড়ার নিদর্শন দেখে চুঁচুড়ার সৌমেন নিয়োগীকে কি কলির কুম্ভকর্ণ খেতাবটি দেওয়া যায় না?