কুমিল্লায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল এবং আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকালে নগরীর পাথুরীয়াপাড়া পানুয়া খানকা শরীফ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল (৪৫) পাথুরীয়াপাড়া এলাকার সৈয়দ শাহজাহানের ছেলে। তিনি ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। হরিপদ সাহা (৫৫) নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদেরকে নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন।
এমতাবস্থায় পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী শাহ আলম এবং সুমনের নেতৃত্বে ৪টি মোটরসাইকেলে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী ওই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে কাউন্সিলরের পেটে, বুকে এবং মাথায় তিনটি এবং হরিপদ সাহার পেটে এবং বুকে দু’টি গুলিবিদ্ধ হয়। এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহেল চৌধুরী (৩৮), সদস্য মো. বাদল (২৮), কাউন্সিলরের সহযোগী রিজু (২৩), জুয়েল (৪০) ও রাসেল (৩২) আহত হন। এ সময় আশেপাশের লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল এবং হরিপদ সাহা মারা যান। বাকি চারজন কুমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া জানান, সন্ত্রাসী শাহ আলমের মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে আসছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। এ নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী শাহ আলম ও সুমনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলরের বেশ কয়েকজন সমর্থকের বাড়িঘরও ভাঙচুর করে। কাউন্সিলরের স্ত্রী রোমা আক্তার জানান, সন্ত্রাসীদের গুলিতে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, এ হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে অতি দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।