× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দু’এক মাসের মধ্যে ধসে যাবে আফগানিস্তানের ব্যাংকিং ব্যবস্থা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) নভেম্বর ২৩, ২০২১, মঙ্গলবার, ৩:৪৪ অপরাহ্ন

আফগানিস্তানের ব্যাংকিং ব্যবস্থা কয়েক মাসের মধ্যে বিধ্বস্ত হতে পারে বলে সতর্কতা দিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থা সচল করার তাগিদ দিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। তাদের জমার পরিমাণ নিম্ন পর্যায়ে। তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ধসে যেতে পারে আফগানিস্তানের ব্যাংকিং ব্যবস্থা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এ বিষয়ে জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। এতে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বলেছে, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধসে যাওয়ায় অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
এর ফলে নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হচ্ছে। এই ঘটনা হতে পারে এক বিধ্বংসী পরিস্থিতি। আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর প্রচণ্ড এক আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে এ দেশটি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভ ব্যাংকে আফগানিস্তানের জমা রাখা কয়েক শত কোটি ডলারের অর্থ অবমুক্ত বন্ধ করে রাখে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা। সেখানকার জনগণকে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছে তালেবান সরকার।

ইউএনডিপি তার রিপোর্টে বলেছে আফগানিস্তানের আর্থিক এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রচন্ড বিশৃঙ্খলা অবস্থায়। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না করা হলে আফগানিস্তানের সীমিত প্রবৃদ্ধির যে সক্ষমতা আছে তা নষ্ট হবে এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হবে।

আফগানিস্তানের নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক এবং একতরফা অবরোধের ফলে এই দেশটিতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে । আফগানিস্তান বিষয়ক ইউএনডিপির প্রধান আব্দুল্লাহ আল দারদারি বলেছেন, এমন কোনো ব্যবস্থা উদ্ভাবন করে তার মধ্য দিয়ে যদি আমরা আফগানিস্তানের ব্যাংকিং খাতকে সহায়তা দেই, তাহলে সেই সহায়তা তালেবানদের জন্য সহায়তা হবে না। আমরা এখন এক করুণ পরিণতিতে এসে পৌঁছেছি। এখানে এসে আমাদেরকে সব রকম বিকল্প সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। আমাদেরকে সীমার বাইরে এসে চিন্তা করতে হবে। তিন মাস আগে যে বিষয়টি অচিন্তনীয় ছিল এখন সেটা সামনে এসে পৌঁছেছে।

উল্লেখ্য তালেবানরা ক্ষমতায় আসার আগেই আফগানিস্তানের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। তারপর যখন আন্তর্জাতিক সহায়তা তুলে নেয়া হয়েছে তখন আফগানিস্তানের কয়েক কোটি ডলারের সম্পদ দেশের বাইরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘ এবং সাহায্যদাতা গ্রুপগুলো দেশটির জন্য অর্থ সহায়তার জন্য একরকম সংগ্রাম করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন জাতিসংঘ ইউএনডিপি এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিভিন্ন দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে চলেছে। আফগানিস্তানের অর্থ এবং আফগানিস্তানের জনগণের আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার পথ উন্মুক্ত হয় সে জন্য কাজ করা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর