× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পরমাণু বোমা তৈরির কাছাকাছি ইরান, হামলার বিকল্প দেখছে না ইসরাইল

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) নভেম্বর ২৩, ২০২১, মঙ্গলবার, ৬:০৯ অপরাহ্ন

ইসরাইল দাবি করছে, পরমাণু বোমা তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ইরান। ইরান নিজেও জানিয়েছে, তারা ২৫ কেজি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে যা প্রায় ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ। একটি পরমাণু বোমা তৈরির জন্য যতটুকু সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন এটা তার প্রায় কাছাকাছি। এছাড়া আরো ২১০ কেজির বেশি ইউরেনিয়ামও সমৃদ্ধ করেছে ইরান, যা ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ। ইরানের দাবি হচ্ছে, এগুলো শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। যদিও ইরানি বিশেষজ্ঞরাই স্বীকার করেছেন যে, এর আগে এই ধরনের উচ্চ ক্ষমতাসমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম শুধুমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশগুলোর কাছেই ছিল। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

ইসরাইলও বিশ্বাস করে ইরান যে কোনো সময় পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম। দেশটির এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ইরানি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য উপযুক্ত উপাদান তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে যা অতীতে ছিল না।
এই বিষয়টি ইসরায়েল রাষ্ট্রের নিরাপত্তার উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। ইসরাইল মনে করে, ইরান যদি চায় তাহলে এটি এখন এক মাসের মধ্যে একটি পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম জমা করতে পারে।

ফলে ইসরাইল এখন যে কোনো মূল্যে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ করতে চায়। এ জন্য শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়ে আসছে দেশটি। কদিন আগেই লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের সাথে যৌথ মহড়া দিয়েছে ইসরায়েলি, আমিরাতি এবং বাহরাইনের নৌবাহিনী। এই মহড়ার ঠিক আগেই ইসরায়েলের বন্দর নগরী ইলাতের ঠিক উত্তরে একটি মরুভূমির বিমানঘাঁটিতে আরেকটি বিমান মহড়া হয়, যেখানে ইসরায়েল ছাড়াও আরো সাতটি দেশের যুদ্ধবিমান প্রচ- গর্জনে আকাশ কাঁপিয়েছে। এই মহড়াগুলোর অন্যতম লক্ষ্য ইরানকে একটি কড়া সতর্কবার্তা পাঠানো এবং কৌশলগত জোটের উপর গুরুত্বারোপ করা। ইরানের পারমাণবিক সাইটগুলোতে সম্ভাব্য হামলার জন্য ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করতে দেশটির সরকার ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে এবং রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা প্রায় প্রতিদিনই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করে ফেললে সবথেকে বড় হুমকিতে পড়বে ইসরাইল। এছাড়া আরব রাষ্ট্রগুলোও ঘোর ইরানবিরোধী। তারাও ইরানের পরমাণু অস্ত্র কোনোভাবে মেনে নেবেনা। এই আরব ও ইসরাইলের মিত্র হিসেবেই পরিচিত পশ্চিমা দেশগুলো। পশ্চিমা শক্তিগুলোও ইরানকে বিশ্বাস করে না। এমন প্রেক্ষাপটেই ২০১৫ সালে, ইরান এবং ছয়টি ক্ষমতাধর দেশ একটি বড় চুক্তিতে পৌঁছেছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে পরমাণু কার্যক্রম থেকে দূরে সরিয়ে রাখা। বিনিময়ে ইরানকে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রগুলো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে ইরান আবারো নিষিদ্ধ পরমাণু কার্যক্রম শুরু করে। যদিও নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবার চুক্তিতে যোগ দিতে চান।

সাবেক ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াকভ আমিদ্রর মনে করেন, কোনো কিছুই ইরানকে তাদের পারমাণবিক উচ্চাভিলাষ থেকে পিছিয়ে আনবে না। নতুন করে ইরান যে আলোচনায় বসার ঘোষণা দিয়েছে তা মূলত সময় ক্ষেপণ। গোপনে দেশটি তাদের পরমাণু কার্যক্রম চালিয়েই যাবে। তাই ইসরাইলকে আর পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে চল্বেনা, নিজেকেই যত দ্রুত সম্ভব ইরানে হামলা চালাতে হবে। এর আগেও ১৯৮১ সালে ইরাকে ও ২০০৭ সালে সিরিয়ায় একাই হামলা চালিয়ে শত্রুপক্ষের পারমাণবিক চুল্লি ধ্বংস করেছিল ইসরাইল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর