পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ বাবর আজম ও কোচ সাকলাইন মুশতাকসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক নথি পর্যালোচনা শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে সরকারের অনুমতি না নিয়ে ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের অভিযোগে দেশটির ক্রিকেট দলের ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল মামুন। মামলার আসামি করা হয়- পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ বাবর আজম, কোচ সাকলায়েন মুশতাক, ব্যবস্থাপক মনসুর রানা, সদস্য শাদাব খান, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, আসিফ আলী, হায়দার আলী, হারিস রউফ, হাসান আলী, ইফতেখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহনেওয়াজ দাহানি, ওসমান কাদির, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক ও শহীদ আসলাম। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনা শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। বাদীপক্ষের আইনজীবী আনিস উজ জামান বলেন, বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার প্রতীক। বিদেশি কোনো নাগরিকের তার দেশের জাতীয় পতাকা এ দেশে প্রদর্শন করতে হলে অবশ্যই সরকারের পূর্ব অনুমোদন প্রয়োজন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আতিথিয়তার সুযোগে স্বাগতিক দেশে এসে প্রথম দিনই পাকিস্তান ক্রিকেট দল বিধিবিধান ও আইন লঙ্ঘন করে নিজ দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও উড়িয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছে। বিভিন্ন পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা ক্রীড়া-কসরত প্রদর্শনের নামে অসৎ উদ্দেশ্যে ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে খেলায় লিপ্ত হয়।
তাদের এমন ধৃষ্টতামূলক কর্মকাণ্ড দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। তারা স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে খাটো করার ব্যর্থ প্রত্যয়ে এমন হীন কাজ করেছে।