× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটের ভোটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র লড়াই

শেষের পাতা

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
২৬ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার

দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া বিএনপি নেতাদের অবস্থান ততোটা পরিষ্কার ছিল না। কিন্তু বিজয়ী হওয়ায় তাদের রাজনৈতিক পরিচয় পরিষ্কার হয়। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে এসে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি আরও খোলাসা হয়েছে। ২৮শে নভেম্বরের ইউপি নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে মূলত লড়াই জমিয়ে তুলেছেন বিএনপির নেতারা। সিলেটের তিনটি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টিতে বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। কোনো কোনো ইউনিয়নে ৩-৪ জন প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির ঘরানা থেকে। মাঠে আছে জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের নেতারাও। তারা সবাই স্বতন্ত্র ব্যানারে লড়াই করছেন।
কয়েকজন প্রার্থী জানিয়েছেন, সিলেটে ইউপি নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। নৌকার পক্ষে মাঠে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোট নিরপেক্ষ করা হচ্ছে। এ কারণে আস্থা ফিরে পাওয়ায় সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বিরোধী শিবির থেকে প্রার্থী হচ্ছেন অনেকেই। স্থানীয়ভাবে গ্রাম কিংবা এলাকার সমর্থন নিয়ে তারা প্রার্থী হয়েছেন। এদিকে সিলেটের বেশির ভাগ ইউনিয়নেই রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। ফলে মাঠ পর্যায়ে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে করে ভোটে সুবিধাই পাচ্ছেন বিরোধী শিবির থেকে প্রার্থী হওয়া নেতারা।  সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চারটি ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির ৭ নেতাকর্মী। উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আমিনুর রহমান চৌধুরী সিত্তা ও শহিদুর রহমান। মোগলাবাজার ইউনিয়নে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবদলের সদস্য মঈনুল ইসলাম মঞ্জু ও উপজেলা শ্রমিকদলের সদস্য আব্দুল মুকিত প্রার্থী হয়েছেন। জালালপুরে বিএনপি নেতা মামুনুর রহমান চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলাম ইউনিয়নে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সদস্য আত্তর আলী ও ফাইজুল হক প্রার্থী হয়েছেন। গোয়াইনঘাটে ৬টি ইউনিয়নের পাঁচটিতে বিএনপি দলীয় প্রার্থী আছেন ১৫ জন। তন্মধ্যে নন্দীরগাঁও ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদ শাহীন, আবদুল ওয়াহিদ, জামাল উদ্দিন আহমদ ও তাজ উদ্দিন প্রার্থী হয়েছেন। রুস্তমপুর ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় আবুল কালাম আজাদ, সাহাব উদ্দিন শিহাব, হাবিবুর রহমান হাবিব ও সালেহ আহমদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। লেঙ্গুড়া ইউনিয়নে বিএনপির মাহবুব আহমদ, গোলাম কিবরিয়া সাত্তার ও আব্দুল মান্নান লড়ছেন চেয়ারম্যান পদে। তোয়াকুল ইউনিয়নে বিএনপির খালেদুর রহমান খালেদ এবং ফতেহপুর ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপির মিনহাজ উদ্দিন, মীর হোসেন আমির ও সোহেল আহমদ প্রার্থী হয়েছেন। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আব্দুল আহাদ ও উপজেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর হোসেন প্রার্থী হয়েছেন। চারিকাটা ইউপিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ আলাম চৌধুরী তোফায়েল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন বেলাল, বিএনপি নেতা ডিএমডি আজাদ, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দরবস্ত ইউনিয়নে সাবেক উপজেলা ছাত্রদল নেতা ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, বিএনপি নেতা খায়রুল আমিন প্রার্থী হয়েছেন। ফতেপুর ইউপিতে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ এবং চিকনাগুল ইউপিতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবিএম জাকারিয়া নির্বাচনে লড়ছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি নেতাদের প্রার্থী হওয়া বিষয়ে নীরব দলের সিলেটের নেতারাও। যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে না। অথবা যারা প্রার্থী হয়েছেন তারাও দলীয় কোনো পদবি ব্যবহার করে প্রার্থী হননি। সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার জানিয়েছেন, যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা কেউ বিএনপির প্রার্থী নয়। তারা এলাকাভিত্তিক সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানিয়ে দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর