‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্যানারে প্রথম দুটি নকিয়া স্মার্টফোন উন্মোচন করলো এইচএমডি গ্লোবাল। নকিয়ার জি-১০ ও জি-২০ দুটি ফোনই বাংলাদেশে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির কারখানায় তৈরি। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য ‘বাংলাদেশে তৈরি’ নকিয়া ফোনের যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে এইচএমডি গ্লোবালের প্যান এশিয়া অংশের মহাব্যবস্থাপক রাভি কুনওয়ার বলেন, আজকে আমাদের জন্য স্মরণীয় একটি দিন। নকিয়া জি-১০ এর মূল্য ১৩,৪৯৯ টাকা এবং জি-২০ দাম ১৪,৯৯৯ টাকা। অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন গ্রুপের পরিচালক আলভী রানা বলেন, মোবাইল ফোন যুগের শুরুতে সম্ভবত দেশে এমন কোনো পরিবার ছিল না যেখানে অন্তত একটি নকিয়া ফোন ছিল না। আমরা আশা করি স্মার্টফোনে ফের সেই দিন দেখবো মেইড ইন বাংলাদেশ নকিয়া ফোনের হাত ধরে। দেশি প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন গ্রুপ এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যারের সমন্বয়ে ‘ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যার (বাংলাদেশ) লিমিটেড’-এর কারখানায় তৈরি হচ্ছে ফোন দুটি।
এর আগে একই কারখানায় নকিয়া ৩.৪ ফোনের কয়েক হাজার ইউনিট তৈরি হলেও এবারই প্রথমবারের মতো মডেল দুটির পূর্ণ চাহিদা দেশে তৈরি ফোনেই মেটাচ্ছে নোকিয়া। দুটি ফোনই তিনদিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, যা এখন পর্যন্ত নোকিয়া স্মার্টফোনে সর্বোচ্চ। নকিয়ার জি-২০ সেটে তিন বছর পর্যন্ত মাসিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং দুই বছর পর্যন্ত অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করার কথাও বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। আঙুলের ছাপ ও ফেইস রিকগনিশনের মাধ্যমে ফোন আনলকের অপশনসহ দুটি ফোনের পর্দাই ৬.৫ ইঞ্চি টিয়ারড্রপ ডিসপ্লে। জি-২০ ফোনে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড এঙ্গেল ব্যাক ক্যামেরাসহ রয়েছে চারটি ব্যাক ক্যামেরা। নকিয়া জি-১০ মোবাইলে আছে তিনটি ব্যাক ক্যামেরা আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংবলিত শুটিং মোড। ইউনিয়ন গ্রুপের পরিচালক আলভী রানা বলেন, বাংলাদেশে তৈরি হ্যান্ডসেট ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে পাবে এবং এ দেশে স্মার্টফোন নকিয়ার মার্কেট শেয়ার বাড়াতে সাহায্য করবে।