সুদানে গত মাসের সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লা হামদক। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির সার্বভৌম পরিষদের ডেপুটি প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ দাগালো। এই অভ্যুত্থানে তার পূর্ণ সমর্থনও ছিল। গত ২৫ অক্টোবর হামদককে ক্ষমতাচ্যুত করে সুদানে সেনা শাসন জারি করা হয়। পরে এক চুক্তির ভিত্তিতে গত সোমবার তাকে আবারও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বে বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে আবারো বেসামরিক শাসনের পথ উন্মুক্ত হলো বলে জানিয়েছে সামরিক ও বেসামরিক উভয় পক্ষই।
সম্প্রতি আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দাগালো বলেন, গত ২৫ অক্টোবর যা হয়েছে তা অনেক দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফল। এর আগে অনেক অনেক আলোচনা হয়েছে এবং অনেকগুলো প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেও একাধিক প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শেষে আমরা ৩টি অপশন থেকে একটি বেছে নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। সেনাবাহিনী মোটেও একা অভ্যুত্থান করেনি।
প্রথম থেকেই হামদকের ভূমিকা নিয়ে সুদানের নাগরিকদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা যাচ্ছিল। দাগালো যে দাবি করেছেন, এটি সত্যি হলে তা হবে হামদকের বিরুদ্ধে বড় ‘অভিযোগ’। এর আগে গণমাধ্যমকর্মীরা একাধিকবার তাকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, তিনি অভ্যুত্থানের বিষয়টি আঁচ করতে পেড়েছিলেন কিনা। প্রতিবারই হামদক বলেছেন, তিনি জানতেন না এরকম কিছু হতে যাচ্ছে। কিন্তু ডেপুটি প্রধান দাবি করেছেন, হামদক নিজেই এই অভ্যুত্থান পরিকল্পনার প্রধান ব্যাক্তিদের একজন ছিলেন। তার স্বাধীনতা নিয়ে এরইমধ্যে মানুষের মধ্যে সন্দেহ দানা বেধেছে। এখন তার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।