× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় অনিয়ন্ত্রিত ইজিবাইক

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৭ নভেম্বর ২০২১, শনিবার

অনিয়ন্ত্রিত ইজিবাইকের বেপরোয়া চলাচল নগর জীবনে বিষফোঁড়া হিসেবে দেখা দিয়েছে। খুলনা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও এলাকায় যানজটে নাকাল নগরবাসী। অদক্ষ চালক আর অতিরিক্ত ইজিবাইকের কারণে ট্রাফিক ব্যবস্থা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। পরিবেশবান্ধব ইজিবাইক এখন যানজটের কারণে নগর জীবনে বিড়ম্বনার বাহন হিসেবে পরিণত হয়েছে।
খুলনা মহানগরীর সড়ক মহাসড়কগুলো এখন ইজিবাইকের দখলে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরীর অলিগলি। এর প্রকৃত সংখ্যা কেউ জানে না। যদিও যানজট কমানোর জন্য দু’বছর আগে খুলনা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নগরীতে চলাচলের জন্য ৭ হাজার ৮৯৫টি লাইসেন্স প্রদান করা হয়। ২০১০ সালের শেষের দিকে নগরীতে ইজিবাইক চালু হয়।
স্বল্প সময়ের মধ্যে অল্প খরচে অধিক দূরত্বে পৌঁছানোর জন্য বাহনটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। ফলে নগরীতে বাড়তে থাকে এর সংখ্যা। গত ১১ বছরে জনপ্রিয় এই বাহনটি এখন অনেকটা বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। ইজিবাইকের কারণে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ট্রাফিক জ্যাম লেগেই থাকে, ফলে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। যানজট বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নগরবাসীর। ছুটির দিন ব্যতীত নগরীর বেশকিছু সড়কে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই যানজট লেগেই থাকছে।
পথচারী ও যাত্রীদের অভিযোগ, যত্রতত্র পার্কিং, চালকদের প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব, অতিরিক্ত লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইকের চলাচলসহ বেশকিছু কারণে বাড়ছে এই যানজট। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়ছেন চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা। কেসিসি’র পক্ষ থেকে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে ইজিবাইকের সংখ্যা ও রুট নির্ধারণসহ একের পর এক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও কার্যত শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা ফিরছে না।
খুলনা সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, খুলনায় প্রায় ৮ হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স রয়েছে। তবে শহরের বিভিন্ন অলিগলিসহ প্রধান সড়কে প্রায় ৩০ হাজারের মতো ইজিবাইক চলছে বলে অপরাপর সূত্র ধারণা দিয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ট্রাফিক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, যানজট নিরসনে বহিরাগত ইজিবাইকের প্রবেশ বন্ধে শহরে ঢোকার সকল প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ।
কাহীন সরদার মিয়া নামের একজন চালক বলেন, আমরা অনেক আন্দোলনের পর ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সিটি করপোরেশন থেকে ব্লু-বুক পেয়েছি। এখন সেই ব্লু-বুক বিক্রি হচ্ছে ৪০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকায়। এক্ষেত্রে যদি সিটি করপোরেশন থেকে গাড়ির নম্বরগুলো দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে অন্তত এগুলো বিক্রি করতে পারবে না।
খুলনা সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা রবিউল আলম জানান, নগরীতে চলাচলের জন্য কেসিসি’র পক্ষ থেকে ৭ হাজার ৮৯৫ জনকে ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। বর্তমানে ইজিবাইক প্রতি ২ হাজার টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে। তবে নগরীতে চলাচলরত অবৈধ ইজিবাইকের সংখ্যা অনেক বেশি বলে স্বীকার করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, নগরীতে আটটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। প্রতিদিন ভোরে খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজিবাইক নগরীতে প্রবেশ করছে। যার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে ওইসব প্রবেশদ্বারে পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের কিছু লোক নিয়োগ করা হয়েছিল। তারা প্রায় ৯/১০ লাখ টাকা জরিমানাও আদায় করেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে সেটি বন্ধ করা হয়। চলতি বছরের ৩১শে ডিসেম্বর লাইসেন্স নবায়ন শেষ হওয়ার পর পুনরায় অবৈধ ইজিবাইকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর