× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বড়লেখায় নৌকার জয়ের পথে বাধা বিদ্রোহীরা

বাংলারজমিন

এ.জে. লাভলু, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) থেকে
২৭ নভেম্বর ২০২১, শনিবার

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ১০ ইউপির মধ্যে ৮টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১৫ জন বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন। এতে বিপাকে পড়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। অস্বস্তিতে পড়েছেন দলের প্রার্থীরা। দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় এরইমধ্যে ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা নৌকার জয়ের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে নেতাকর্মীরা আশঙ্কা করছেন। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮শে নভেম্বর বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে। উপজেলার ১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৪ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরমধ্যে উপজেলার ৮ ইউপিতে আওয়ামী লীগের ১৫ জন নেতা বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। বর্ণি ইউনিয়নে দু’জন, দাসেরবাজার ইউনিয়নে দু’জন, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে দু’জন, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নে একজন, বড়লেখা সদর ইউনিয়নে একজন, তালিমপুর ইউনিয়নে দু’জন, দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নে ৪ জন, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক বলেন, কয়েক ইউপিতে অযোগ্যদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যারা ত্যাগী নেতা তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি। ফলে মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এতে দলের অনেক কর্মী-সমর্থকরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের কেউ বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। কেউ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তবে এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা নৌকার জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। কারণ বিদ্রোহী প্রার্থীরা না হলে হলে তখন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতেন। এতে নৌকার জয়ের পথটা সহজ হতো। দলের মনোনীত কয়েকজন প্রার্থী বলেন, দল তাদের মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দিয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে তারা সমস্যায় রয়েছেন। আবার উপজেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতারা বিদ্রোহীদের মদত দিচ্ছেন। যার কারণে দলের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়েছে পড়েছেন। তবে যারা মনেপ্রাণে আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন তারা আমাদের পক্ষে কাজ করছেন। তারা দলের বিদ্রোহীদের পাশাপাশি মদতদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থী বলেন, দলের দুর্দিনে কাজ করেছি। কিন্তু দল আমাদের মূল্যায়ন করেনি। এজন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা জয়ী হবো। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর গতকাল দুপুরে বলেন, যারা দলের প্রার্থীদের বিদ্রোহী হয়েছেন, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আর নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে যেসকল নেতাকর্মী বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করছেন, তাদের সবার নাম সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর