কাতারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সিলেটের জৈন্তাপুরের কহাইগড় গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম। প্রবাস থেকে সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করে যান তিনি। করোনাকালেও ছিলেন মানুষের কাছাকাছি। কিন্তু এতেও মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয় না। জনসেবার ব্রত নিয়ে সুদূর কাতার থেকে এসে স্থানীয় চিকনাগুল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নামা জাহাঙ্গীরকে ঘিরে ভোটের মাঠ সরগরম। প্রচারণায় চমক দেখিয়েছেন জাহাঙ্গীর। এখন ভোটের অপেক্ষা।
সিলেট শহরতলীর বটেশ্বরের লাগোয়া এলাকা হচ্ছে জৈন্তাপুরের চিকনাগুল ইউনিয়ন। চা-বাগানময় এই ইউনিয়নে গত তিন বার ভোটে চেয়ারম্যান বদলিয়েছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। বরং ধর্মীয় অনুশাসনের ওই এলাকার মানুষ আরও বেশি অবহেলিত থেকেই যাচ্ছেন। এবারো এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হতে ৯ জন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে লড়াইয়ে রয়েছেন চার প্রার্থী। এরা হচ্ছেন- জনগণ মনোনীত প্রার্থী ও কাতারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম, নৌকার প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান, সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম জাকারিয়া ও বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল রশীদ চৌধুরী। ভোটাররা জানিয়েছেন- ‘চিকনাগুল ইউনিয়নের সামাজিক কাঠামো খুবই শক্তিশালী। মানুষ চায় উন্নয়ন। কিন্তু বিগত দিনে সেই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন পায়নি এলাকার মানুষ। এখনো গ্রামীণ জনপদে বর্ষার মৌসুমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন- তিনি নির্বাচিত হলে প্রথমে ইউনিয়নের অবহেলিত গ্রামগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলবেন। গ্রাম হবে শহর- এমন স্লোগান বাস্তবায়িত হবে। চিকনাগুলের পাশ্ববর্তী খাদিপাড়া ইউনিয়ন অনেক উন্নত। কিন্তু আমরা এখনো চিকনাগুলকে সেভাবে উন্নত করতে পারেনি। সামাজিক কাটামো শক্তিশালী করে এলাকায় শিক্ষিতের হার বাড়ানো এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উপর সবচেয়ে বেশি নজর দেয়া হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করা হবে।’ তিনি বলেন- ‘প্রকৃত অর্থে এই মূহূর্তে চিকনাগুল ইউনিয়নে একজন সেবক দরকার। তিনি সেবক হওয়ার জন্য কাতার থেকে এসে প্রার্থী হয়েছেন। তার জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। তিনি জনগণের জন্য কাজ করতে প্রবাস ছেড়ে দেশে এসেছেন। এলাকার মানুষ ভোটে তাকে হতাশ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীর আলম।