শেরপুরে আনসার সদস্য পদে চাকরি দেয়ার নামে ২ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শেরপুর ঘোড়দৌড় গ্রামের মো. শফিকুর রহমান বগুড়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। গত ৭ই ফেব্রুয়ারি বিকালে জেলা আনসার অফিসার অ্যাডজুটেন্ড শেখ ফিরোজ আহম্মেদ এবং শেরপুর উপজেলা আনসার কর্মকর্তা সোহাগ আলম শফিকুর রহমানকে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর তার পুত্র সোহেল রানাকে চাকরির জন্য ৫ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার চুক্তি করে। সেখানে শফিকুর নগদে ২ লাখ টাকা দেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে চাকরি দিলে অবশিষ্ট ৩ লাখ টাকা প্রদানের জন্য ৫ জন সাক্ষীর সামনে চুক্তি করা হয়। এদিকে চাকরি না হওয়ায় শফিকুর রহমান তার টাকা ফেরত চাইলে আসামীরা টাকা না দিয়ে নানা রকম ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। এরপর বাদী শফিকুর রহমান উপায় না পেয়ে গত ৮ই নভেন্বর বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-০৪ মামলা নং- ৪৬৩/২১ মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি শেরপুর থানা পুলিশের কাছে তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। বাদী শফিকুর জানান, মামলা দায়েরের পূর্বে আসামিদের নামে গত ১৪ই অক্টোন্বর ডাক যোগে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছি। আসামীরা নোটিশের জবাব দেন নাই। শেরপুর উপজেলা আনসার অফিসার সোহাগ আলম শেরপুরের আনসার সদস্য বেলাল হোসেন এবং নজরুল ইসলামের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ঘুষের টাকা লেনদেন করেন। এ ছাড়াও দলগতভাবে আনসার নিয়োগ না দিয়ে টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ আছে। তিনি আনসারদের ভাতার অংশে কমিশনও নেন। গত দুর্গাপূজার সময়ে টহল গাড়ির দুর্ঘটনার জরিমানা থেকে ৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি বিসিএস ক্যাডারের সদস্য বলে হুমকি দিয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে লাভ হবে না। মামলার বিষয় ও এধরনের অভিযোগ নিয়ে জেলা অ্যাডজুটেন্ড শেখ ফিরোজ আহম্মেদের সঙ্গে যোগোযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। শেরপুর উপজেলা কর্মকর্তা সোহাগ আলম জানান, আদালতে দায়ের করা মামলা মিথ্যা। শফিকুরের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তবে মামলাটি আপষের চেষ্টা চলছে।