লক্ষ্মীপুরের রামগতি বাজারের একটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি হয়। চুরি হওয়া স্বর্ণালংকারসহ অভিযুক্ত পলাশকে ঢাকার মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে রামগতি থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে রয়েছে ১৩ ভরি ৬ আনা সোনা ও ৪ ভরি ১৩ আনা রুপা। যাহার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২৭শে অক্টোবর গভীর রাতে রামগতি বাজারের মীর রোড়ের কানন স্বর্ণ শিল্পালয় থেকে এসব স্বর্ণালংকার চুরি হয়। এ ঘটনায় দোকানের মালিক দুর্লভ সাহা বাদী দোকানের কর্মচারী পলাশকে বিবাদী করে রামগতি থানায় একটি মামলা করে। মামলার সূত্রে ধরে এস আই মো. নাজমুল ও এ এস আই মো. খোর্শেদ আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার শিবুলিয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আসামি পলাশকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত পলাশ ছোট সাকরাইল গ্রামের মৃত কার্তিক হালদারের ছেলে।
সে কানন স্বর্ণ শিল্পালয়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছে। ঘটনার দিন দোকানে রাখা বিভিন্ন ধরনের তৈরিকৃত স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে পলাশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক স্থান থেকে চুরিকৃত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, মামলার ভিত্তিতে বিশ্বস্ত ফোর্স এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে আসামির অবস্থান চিহ্নিত করে চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তার অপরাধ স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।