× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মিঠাপুকুরে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে যত অভিযোগ

বাংলারজমিন

জাভেদ ইকবাল, রংপুর থেকে
২৭ নভেম্বর ২০২১, শনিবার

মিঠাপুকুরে ইউপি নির্বাচনে সরব হয়ে উঠেছে এক সময়ের রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আঁতাত রেখে তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। স্বতন্ত্রের নামে জামায়াত প্রার্থীরা নির্বাচন করায় আমরা আতঙ্কিত। রংপুর-৫ মিঠাপুকুর আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, মিঠাপুকুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা নেতার চাচা-মামারা জামায়াত-বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পরও তাদের ক্ষমতায় বসতে না দেয়া, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৫ মিঠাপুকুর আসনে জামায়াতের প্রার্থীর গোলাম রব্বানীর মনোনয়ন নিয়ে হয়রানিসহ নানা বিষয়ে চাপা ক্ষোভ থেকে এবার স্থানীয় সরকারের সকল দপ্তরে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করানোর টার্গেটে রয়েছে জামায়াত। তথ্যানুযায়ী মিঠাপুকুর আসনে ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এডভোকেট হামিদুজ্জামান সরকার। ১৯৮৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে এডভোকেট হামিদুজ্জামান সরকার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তালা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচএন আশিকুর রহমানের কাছে পরাজিত হন।
১৯৯৩ সালের ২৯শে আগস্ট গণফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এডভোকেট হামিদুজ্জামান সরকার গণফোরামে যোগদান করেন। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ হারিজ উদ্দিন সরকার বীর প্রতীক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নির্বাচিত হলে, উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান চৌধুরী নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এইচ এম এরশাদ নির্বাচিত হলে, পরবর্তী উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এইচএন আশিকুর রহমান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে শাহ সোলায়মান ফকির নির্বাচিত হন, পরবর্তীতে তিনি ২০১৮ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে বিএনপি থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এরপর ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে এইচএন আশিকুর রহমান ধারাবাহিকভাবে জয়লাভ করেন। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করলেও আওয়ামী লীগের হাতে দীর্ঘ সময় ক্ষমতা থাকার পরও জামায়াতের ঘাঁটি মিঠাপুকুরে তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। তবে এবার জামায়াত তার ভোট ব্যাংককে কাজে লাগিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ দখলের চেষ্টা করছে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামায়াত আন্দোলনের নামে মিঠাপুকুরে ৫০টিরও বেশি নাশকতা চালিয়েছে। এরমধ্যে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছে মিঠাপুকুর জামায়াতের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে ১ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী। রংপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শাহ মো. রফিকুল ইসলাম তুহিন অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ছত্রছায়ায় জামায়াত নেতাকর্মীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিগত সময় তারা উপজেলা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। এইচএন আশিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য রাশেক রহমানের নেতৃত্বে ১৭টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার বলেন, আমার সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার ইমেজ ক্ষুণ্ন করতে প্রতিপক্ষ এ অভিযোগ তুলছে। উল্টো তিনি বলেন, জামায়াতকে কারা মদত দিচ্ছে যা তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর