ভূমিকম্পের ফলে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার এলাকায় একটি চারতলা ভবন হেলে পড়েছে। ‘হালিমা ভবন’ নামে এই বিল্ডিংয়ের উপরের অংশ সামান্য হেলে পাশের ভবনের সঙ্গে লেগে গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই দুই ভবনের বাসিন্দারা। গতকাল ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে সারা দেশে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এতে হালিমা ভবনের উপরের অংশ হেলে পড়ে।
জানা যায়, হালিমা ভবন আগে থেকেই একটু হেলে ছিল। গতকাল সকালের ভূমিকম্পে আগে থেকে হেলে থাকা ভবনটির উপরের অংশটি পাশের ভবনে গিয়ে পড়েছে। এতে উপরের তিনতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অংশটি পাশের ভবনে লেগে গেছে। তবে ওই ভবনের দ্বিতীয়তলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত দুই ফুটের মতো ফাঁকা রয়েছে।
ভবনের দ্বিতীয়তলার এক বাসিন্দা বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া না হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারে পুরো ভবনের বাসিন্দারা। আমরা খুব শিগগিরই বাসা ছেড়ে দেবো।’ এদিকে বিষয়টি জানার পর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) প্রকৌশলীরা ওই ভবনে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে তারা দুই ভবনের বাসিন্দাদের ভবনটি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, হেলে পড়া ভবন পর্যবেক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে এসে জানালে বিস্তারিত বলা যাবে। এদিকে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত অবস্থায় নগরের চকবাজার এলাকায় দুইতলা ভবন থেকে পড়ে গিয়ে আব্দুল আলী নামে এক গার্মেন্টকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়। বর্তমানে ২৪ বছর বয়সী এই যুবক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
একই ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে হোসাইন আহমদ নামে এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের দুইতলা থেকে লাফ দেয়। এতে তিনি কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা পান। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত হোসাইন আহমদ রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।