খেলা

ঝুঁকিপূর্ণ টার্ফে স্বাধীনতা কাপ দিয়ে শুরু হচ্ছে ফুটবল মৌসুম

স্পোর্টস রিপোর্টার

২০২১-১১-২৭

প্রতি বছর ফেডারেশন কাপ দিয়ে মৌসুম শুরু হলেও এবার তা হচ্ছে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে মৌসুমের শুরুতেই আয়োজন করা হচ্ছে স্বাধীনতা কাপ। দুই বছর পর অনুষ্ঠিত এই আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে উত্তর বারিধারার মুখোমুখি হবে গত আসরের রানার্সআপ শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে এই ম্যাচ। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা ৬টায় শেখ জামালের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। স্বাধীনতা কাপের সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে কমলাপুর স্টের্ডিামের ঝুঁকিপূর্ণ টার্ফে। ১৯৭২ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্ট এখন পর্যন্ত মাঠে গড়িয়েছে মাত্র দশবার। দেশের ফুটবলে অনিমিয়ত এই টুর্নামেন্ট সর্বশেষ হয়েছিল ২০১৮-১৯ মৌসুমে। সেবার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বসুন্ধরা কিংস। এরপর করোনা ভাইরাসের কারণে এই টুর্নামেন্ট আর মাঠে গড়ায়নি। ১৫ দল নিয়ে হবে এবারের মৌসুম শুরুর টুর্নামেন্ট। প্রিমিয়ার লীগের ১২ দলের সঙ্গে যোগ হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। ১৫টি দল চার গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবে এবারের আসরে। আজ শুরু হয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনাল মাঠে গড়াবে ১৮ই ডিসেম্বর, দুই সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৪ই ডিসেম্বর। এছাড়া ১০ ও ১২ই ডিসেম্বর কোয়ার্টার ফাইনাল। আজ বিকালে স্বাধীনতা কাপের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপুমনি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় এবার সেখানে কোনো ম্যাচ আয়োজন করতে পারছে না বাফুফে। যার ফলে নতুন মৌসুমে স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপ অনুষ্ঠিত হবে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের টার্ফে। মজার ব্যাপার, স্বাধীনতা কাপের ফাঁকেই ১১ থেকে ২২শে ডিসেম্বর কমলাপুরে হবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফ এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকটা খেলার অনুপযোগী। এই টার্ফে খেলে ফুটবলাররা চোটে পড়েন অনেক বেশি। খেলার মান ভালো হয় না। মূলত নিচের দিকের লীগগুলো এখানে হয়। শীর্ষ স্তরের কিছু ম্যাচও হয়েছে আগে।
মোহামেডান, বসুন্ধরা কিংসসহ প্রিমিয়ার লীগের বেশ কয়েকটি দল কমলাপুরে খেলতে অনাগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এবার স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপ এই মাঠে আয়োজনে অনড় বাফুফে। তাইতো বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে এই টার্ফের মাঠে খেলতে রাজি হয়েছে ক্লাবগুলো। প্রশ্ন এসেছে রেফারিং নিয়েও। ঢাকার রেফারিরা অনেক কিছু এড়িয়ে যান। কিন্তু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পার পান না বাংলাদেশের ফুটবলাররা। সমপ্রতি যেমন মালদ্বীপে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং শ্রীলঙ্কায় চার জাতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ যেমন পেনাল্টি পেয়েছে, আবার শেষ দিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টিও হয়েছে। যার পরিণতিতে দুটি টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশ খেলতে পারেনি ফাইনালে। কাজেই ঘরোয়া ফুটবলে রেফারিং উন্নত করার বিকল্প নেই বলছেন সবাই।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status