প্রথম দিনের দারুণ ব্যাটিং চারশ রানের স্বপ্ন দেখছিল ভারত। গতকাল দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই স্বাগতিকদের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেন টিম সাউদি। আগের দিন ইনজুরি শঙ্কা নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দিনে করলেন আগুন ঝরানো বোলিং। ১১ ওভারের স্পেলে ধস নামান ভারতের মিডল ও লোয়ার অর্ডারে। সাউদির দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে আলো ছড়ানো পারফরমেন্স দুই কিউই ওপেনারের। দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১২৯ রান। উইল ইয়ং ৭৫ ও টম ল্যাথাম অপরাজিত থাকেন কাঁটায় কাঁটায় ৫০ রানে।
প্রথম ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ৩৪৫ রান। ২১৬ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামবে নিউজিল্যান্ড।
কানপুরের গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামে শিশির ভেজা সকালে সাউদির সুইংয়ে খাবি খাচ্ছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। রবীন্দ্র জাদেজা এদিন কোনো রান যোগ করতে পারেননি। থেমেছেন ৫০ রানে। ঋষভ পন্ত বিশ্রামে থাকায় সুযোগ পাওয়া ঋদ্ধিমান সাহা ব্যর্থ (১ রান)। তিনিও সাউদির শিকার। একপ্রান্তে অবিচল ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। অভিষেক টেস্টে তিন অঙ্কের দেখা পাওয়া শ্রেয়াসকেও সাজঘরের পথ ধরান সাউদি। এই অভিজ্ঞ পেসার পঞ্চম উইকেটের দেখা পান অক্ষর প্যাটেলকে ফিরিয়ে। ১৯৮০ সালের পর প্রথম সফরকারী পেসার হিসেবে কানপুরে ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান সাউদি। পুরো ইনিংসে বিবর্ণ এজাজ প্যাটেল শেষ দিকে নেন ২ উইকেট। দারুণ খেলতে থাকা রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও ফিরিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম ইনিংসের শুরুটা দুর্দান্ত করেছেন উইল ইয়ং ও টম ল্যাথাম। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেলদের নিয়ে গড়া ভারতের স্পিন আক্রমণ। ভারতের স্পিনত্রয়ীকে দারুণভাবে সামলে ব্যাট করেন ৫৭ ওভার। আলোক স্বল্পতায় তিন ওভার আগেই দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে দেন আম্পায়াররা। টেস্টে ভারতের মাঠে সফরকারী দলগুলোর শুরুতে খেই হারানোর দৃশ্য একরকম পরিচিত। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের পর সফরকারী ওপেনিং জুটিতে প্রথমবার তিন অঙ্ক পেরোনোর কৃতিত্ব ইয়ং-ল্যাথামের। ভারতের মাটিতে শেষবার চেন্নাই টেস্টে ১০৩ রানের জুটি গড়েন দুই ইংলিশ ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ও হাসিব হামিদ।
ইয়ং-ল্যাথামের জুটি এতদূর আসতে পারতো না। তিনবার আউট হয়েও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ল্যাথাম। টেস্টে রিভিউ সিস্টেম যুগ শুরুর পর তিনবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া দ্বিতীয় ব্যাটার এই কিউই ওপেনার। প্রথমজন ইংলিশ অলরাউন্ডার মইন আলি। ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে মঈনকে ফিল্ড আম্পায়ার তিনবার আউট দিলেও সেটা বদলে দেন টিভি আম্পায়ার।