৩৩০ রানেই অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। পরপর দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে ইনিংসে ৫ উইকেটের দেখা পান হাসান আলি। মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগে ৩৩০ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের।
তাইজুল ইসলামকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ২৮ রানের জুটি গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ। তাতেই তিনশ ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ১১ রানে ফেরেন তাইজুল।
দলের বিপর্যয়ের সময় হাল ধরেছিলেন মুশফিকুর রহীম। লিটন দাসের সঙ্গে গড়েন দুইশ ছাড়ানো জুটি। একপ্রান্ত আগলে ছুটছিলেন অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরির দিকে। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুশফিক।
নার্ভাস নাইনটির শিকার হয়ে ফেরেন ৯১ রানে। টেস্টে এ নিয়ে চারবার নব্বইয়ে ঘরে আউট হলেন মুশফিক। চট্টগ্রামে এর আগে দুইবার সেঞ্চুরি মিসের হতাশায় পুড়েছেন তিনি। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ ও ২০১৮তে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেন ৯২ রান। মাঝে ২০১৩ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিরেছিলেন ৯৩ রানে।
অভিষেক রাঙাতে পারেননি ইয়াসির আলি রাব্বি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম রানের জন্য ১৩ বল অপেক্ষা করতে হয়েছে ইয়াসিরকে। মুখোমুখি হওয়া ১৪তম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর টেস্ট অভিষেকটা স্মরণীয় করতে পারলেন না ইয়াসির। হাসান আলির শিকার হয়ে মাত্র ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগে শুরু হয় চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে প্রথম দিন রাঙানো লিটন দাসকে শুরুতেই হারায় বাংলাদেশ। নতুন দিনের দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলির করা বলটি লাগে লিটনের পায়ে। কিছুটা উপরের দিকে লাগায় এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী ছিলো পাকিস্তান দল। দারুণ এক রিভিউ নিয়ে লিটনকে ফেরায় সফরকারীরা। ১১৩ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা লিটন ফেরেন ১১৪ রানে। ২৩৩ বলে ১১ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় এই রান করেন লিটন। পঞ্চম উইকেটে ২০৬ রানের জুটি গড়েন লিটন-মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ৩৩০/১০ (লিটন ১১৪, মুশফিক ৯১, মিরাজ ৩৮*; হাসান ৫/৫১, ফাহিম ২/৫৪, শাহীন ২/৭০)।