চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সড়ক ও জনপদের দেয়া লিজকৃত জায়গা লিজ নেয়া আওয়ামী লীগ নেতাকে বুঝিয়ে দিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে সড়ক ও জনপদ চট্টগ্রাম বিভাগ। অভিযানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
গত বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনোয়ারা বেগম। এসময় বেশকিছু দোকানপাট, মালামাল, খুঁটিসহ স্থাপনা উপড়ে দেয়া হয়। ২ ঘন্টার অভিযানে লিজকৃত জায়গাটি খালি করতে ব্যাপক তৎপর ছিল পুলিশ, সওজ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন, সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম, সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ট্যোবাকো গেইট এলাকায় মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ৮.২৬ শতাংশ সড়ক ও জনপদের জায়গা লিজ নেন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন। লিজ বাবদ মোহাম্মদ হোসেন ১৮ লক্ষ টাকা যথাযথ নিয়মানুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দেন। কিন্তুু স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে তার দ্বন্দ্ব লেগেই ছিল।
তবে ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মোহাম্মদ হোসেন লিজ নেয়া জায়গার নাম করে পুরো এলাকা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিল। বিপুল সংখ্যক দোকানপাট উচ্ছেদ করে ব্যবসায়ীদের পথে বসানোর পাঁয়তারার প্রেক্ষিতে ওই ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছে সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
তবে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেনের দাবি- তিনি সরকারি নিয়ম মেনে লিজ নিয়েছেন। কিন্তুু কিছুতেই তাকে জায়গাটি দখল করতে দিচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। তার বিরুদ্ধে করা মানববন্ধনের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
কারণ তারা আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করেছে। অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনোয়ারা বেগম বলেন, একজন ব্যক্তি এই জায়গাতে ৮.২৬ শতাংশ জায়গা সরকারি নিয়ম মেনে লীজ নিয়েছেন। যে কেউ নিয়ম মেনে লিজ নিলে সরকার উপকৃত হবে। আমরা কারো পক্ষে নয়। শুধু মাত্র যিনি লিজ নিয়েছেন তাকে তার জায়গা বুঝিয়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। তিনি সরকারি খাতে ১৮ লক্ষ টাকার বেশি জমা দিয়েছেন।