ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বয়স ৩৬ ছাড়িয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পা দেবেন ৩৭-এ। কাতার বিশ্বকাপই হতে চলেছে রোনালদোর শেষ বিশ্বকাপ। মধ্যপ্রাচ্যে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে কি দেখা যাবে পর্তুগিজ সুপারস্টারকে? গত দশকের অন্যতম সেরা ফুটবলারের শেষ বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে জেগেছে সংশয়। ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলা হয়নি ইতালির। চার বছর পর আরেকটি বিশ্বকাপে ইতালির সুযোগ পাওয়া নিয়েও জেগেছে শঙ্কা। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের নতুন নিয়মের কারণে কাতার বিশ্বকাপে সুযোগ পাবে ইতালি কিংবা পর্তুগাল।
১২ দলের প্লে-অফ পেরিয়ে এই দুই দলের যে কোনো একটিই উঠতে পারবে ২০২২ সালের বিশ্বকাপে।
‘সেমিফাইনাল’ নামের প্লে-অফের প্রথম ধাপে ‘সি’ গ্রুপে তুরস্ককে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে পর্তুগাল আর ইতালি খেলবে নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে। এই দুই সেমিফাইনালের জয়ী দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে। তাদের মধ্যে বিজয়ীরা পাবে বিশ্বকাপের টিকিট।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি। সময়ের অন্যতম সেরা দলও তারা। তারকায় ঠাসা পর্তুগাল ইউরোর শিরোপা জিতেছে ২০১৬ সালে। কাতারের টিকিট না পেলে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপই হয়ে থাকবে রোনালদোর শেষ বিশ্বকাপ।
ইতালি ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপে খেলেনি। এরপর বাছাইপর্ব উতরাতে ব্যর্থ ১৯৫৮ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে। টানা দুই বিশ্বকাপের টিকিট পায়নিÑএমর ঘটনা কখনই দেখেনি ইতালির ফুটবল। এখন সেই সম্ভাবনা চোখ রাঙাচ্ছে। সেমিফাইনাল প্লে-অফ জিতলে ফাইনাল খেলতে হবে পর্তুগালের মাঠে। এখনো পর্যন্ত সাতবার বিশ্বকাপ খেলেছে পর্তুগাল। ২০০২ থেকে পরবর্তী সব আসরেই উড়েছে পর্তুগালের পতাকা। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা, নেইমারের ব্রাজিল, কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স নিশ্চিত করেছে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট।
রোনালদোর মতো সুপারস্টার না থাকলে নিশ্চিতভাবে রঙ হারাবে কাতার বিশ্বকাপ। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি না থাকলেও শূন্যতা থেকে যাবে।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বে নিজ নিজ গ্রুপের সেরা সব দল বিশ্বকাপে চলে গেছে। ১০ গ্রুপের ১০ রানার্সআপ ও নেশনস লীগে ভালো করেছে কিন্তু বিশ্বকাপে জায়গা করতে পারেনি এমন দুই দলকে (অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র) নিয়ে আয়োজিত হবে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। এই ১২ দলকে তিনটি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এক একটি ভাগের চার দলের মধ্যে প্রথমে সেমিফাইনাল হবে। আর সেখান থেকে ফাইনালে যাবে দুই দল। ফাইনালের বিজয়ী দল যাবে বিশ্বকাপে। এভাবে তিন ভাগ থেকে তিনটি দল যাবে কাতার বিশ্বকাপে।
জুরিখে ফিফার সদর দপ্তরে হওয়া এই প্লে অফের ড্রতে বাছাই দল হিসেবে ছিল ছয়টি দল-পর্তুগাল, স্কটল্যান্ড, ইতালি, রাশিয়া, সুইডেন, ওয়েলস। অবাছাই দল হিসেবে ছিল তুরস্ক, পোল্যান্ড, নর্থ মেসিডোনিয়া, ইউক্রেন, অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র। বাছাই হওয়ার সুবিধা হিসেবে সব দলগুলো ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। আগামী বছরের ২৪ থেকে ২৯শে মার্চ সময়ের মধ্যে হবে প্লে-অফের ম্যাচগুলো।