করোনার কারণে সংগীত জগতে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা পূরণ সহজে সম্ভব নয়। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে এখন সবারই ব্যস্ততা বাড়ছে। আমি নিজেও টিভি লাইভ ও স্টেজ শোতে গাইছি।আশা করছি সব কিছু দ্রুতই স্বাভাবিক হবে। শিল্পীরা আবার তাদের ছন্দে ফিরতে পারবেন। চলতি সময়ের সংগীতের অবস্থা নিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয় ফোক সংগীতশিল্পী শাহনাজ বেলী। কিন্তু করোনার মতো পরিস্থিতিতে তো অনেকেই পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছেন?এ শিল্পী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।
কারণ অনেক স্বপ্ন নিয়ে শিল্পী ও সংগীতিসংশ্লিস্টরা এ পেশায় আসেন।
অনেক সাধনা থাকে। ত্যাগ থাকে। কিন্তু করোনার কারণে অনেক সংগঠন, শিল্পী ও গানের দল ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে। অনেকে পেশা বদলেছেন।এমন পরিস্থিতি আমি আমার জীবনে কখনও দেখিনি। তবে দোয়া করি যেন সব কিছু আবার ঠিকঠাক হয়ে যায়। এদিকে নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন বেলী।
বছরজুড়ে তিনি ব্যস্ত থাকেন দেশ-বিদেশের স্টেজ শো নিয়ে। তবে করোনার কারণে শো প্রায় বন্ধ গত দুই বছর ধরে। তবে এখন কাজ করছেন। ব্যস্ততাটা কেমন যাচ্ছে এখন? এ গায়িকা বলেন, আমি গত কয়েকদিনে এনটিভি, দেশটিভিসহ কয়েকটি চ্যানেলের লাইভে গেয়েছি। শ্রোতাদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি এখন থেকে। তাছাড়া স্টেজ শো মনের মতো হলে কেবল করছি। আর নতুন গানের কাজও চলছে। নতুন গান কবে নাগাদ আসবে।
এ শিল্পী বলেন, রাধারমন ও লালনের বেশ কিছু গান করছি। প্রকাশের ইচ্ছে ছিল এরমধ্যে। পরিস্থিতির কারণে আর করা হয়নি। ফোক গানও করছি। সময়-সুযোগ মতো প্রকাশ করবো। চলতি সময়ের গান নিয়ে আপনার মন্তব্য কি? শাহনাজ বেলী বলেন, এখন রিমিক্স কিংবা রিমেক করা হচ্ছে গান। আমি এর পক্ষে একেবারেই নই। এসব করে গানের মূল আবেদন নষ্ট করা হচ্ছে। বরংচ চলতি প্রজন্মের শিল্পীদের মৌলিক গানের উপর জোর দিতে হবে। মৌলিক গান একজন শিল্পীর সম্পদ। তাই আমি বিশ্বাস করি যে গানকে ভালোবাসবে, মৌলিক গানের জোর দেবে, সেই টিকে থাকতে পারবে বেশিদিন।