নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটের হাতে প্রাণ দিতে হলো চাচা রোকন মিয়াকে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাজেদা আক্তার বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে কেন্দুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কাউরাট শিমুলাটি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (২০)কে। ওই মামলায় এজাহারনামীয় চারজনসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৮/১০ জনকে।
বাদী বলেন, তার ভাসুরের মেয়ে স্থানীয় নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ওই মেয়ে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আসামিরা উত্ত্যক্ত করতো। বিষয়টি নিহত রোকন মিয়া জানতে পেরে মেহেদীকে বারণ করার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দুইদিন আগে নিহত রোকন মিয়াকে খুন-জখমের হুমকি দেয় ঘাতক মেহেদী হাসান জয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ মিয়াকে জানানো হলে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নওপাড়া বাজারের তাজুল ইসলামের চেম্বারের পেছনে জুতার ফ্যাক্টরির সামনে উভয় পক্ষকে আলোচনার জন্য ডাকেন।
মেম্বারের কথামতো ঘটনাস্থলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আসামিরা কিরিচ, ছুরি ও লোহার রড নিয়ে নিহত রোকনকে ঘেরাও করে পেছন থেকে জাপটে ধরে কিরিচ ও ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এ সময় ফেরাতে গিয়ে রাকিব নামে একজনও ছুরির আঘাতে আহত হন। পরে পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে গুরুতর আহত রাকিবের চিকিৎসা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেয়া হচ্ছে। ঘটনার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় মূল হোতা মেহেদী হাসান জয়। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মনিরুল ইসলাম।
কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, নিহতের ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হয় রোকন মিয়া। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।