পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাফিয়া আক্তার (২০) নামের এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বুড়িরচর গ্রামে স্বামীর বসতঘরের সামনে একটি গাছের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাফিয়া আক্তার ওই গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী ও শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার চরকুমারিয়া হাওলাদার কান্দি গ্রামের দিনমজুর মহসিন ফকিরের মেয়ে।
জানা গেছে, উপজেলার বুড়িরচর গ্রামে রফিক হাওলাদারের ছেলে জুয়েল হাওলাদার প্রেমের সম্পর্ক করে সাফিয়া আক্তারকে এক মাস পূর্বে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এদিকে সাফিয়া আক্তারেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। গত শুক্রবার গভীর রাতে গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় নববধূকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গভীর রাতে লাশ উদ্ধার করে। তবে জুয়েলের সঙ্গে সাফিয়া আক্তারের বিয়ের কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
নিহত সাফিয়া আক্তারের ভাই জামাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, সাফিয়া আক্তারের ৭-৮ মাস পূর্বে সখিপুর থানার আর্শ্বিনগর গ্রামের সবুজ সরদারের সঙ্গে বিয়ে হয়। গত এক মাস পূর্বে বাড়ি থেকে সাফিয়া নিখোঁজ হয়। এরপর আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। সাফিয়ার বাবা মহসিন ফকির জানান, আমরা খুবই গরিব মানুষ। আমি এক সময় রিকশা চালাতাম। এখন অসুস্থতার কারণে রিকশাও চালাতে পারি না। পুলিশ আমার মেয়ের দুর্ঘটনার খবর জানালেও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমরা আসতে পারছি না। আমার মেয়ের লাশ আনার মতো আমাদের সামর্থ্য নেই। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, লাশ উদ্ধার করে শনিবার জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী জুয়েলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।