× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপিত

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২৮ নভেম্বর ২০২১, রবিবার

কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের প্রথম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ‘মা’-এর নামে প্রতিষ্ঠিত তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্টের বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ মাহবুব-উল-ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডেন্টের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হক নূরু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, প্রেসিডেন্টের ছোট বোন মিঠামইন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আছিয়া আলম, ডিএমপি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম বার, পিপিএম বার, মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল্লাহ-আল-মামুন ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আতিকুল সারোয়ার। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সায়েদুর রহমান খান, তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদা আক্তার জাহান, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা এবং প্রাক্তন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অতিথিবৃন্দ স্মৃতিচারণে অংশ নেন। পরে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরবেষ্টিত এক সময়ের দুর্গম উপজেলা মিঠামইন সদরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের উদ্যোগ, অনুপ্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৮৫ সালে তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্টের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হক নূরু হাওর অঞ্চলের শিক্ষা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া নারী সমাজের মধ্যে শিক্ষার আলো বিতরণের মহানব্রত নিয়ে নিজের ‘মা’-এর নামে প্রস্তাবিত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ২৪-২৫ জন ছাত্রী, ৫ জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী নিয়ে তিনি তৎকালীন মিঠামইন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের ৩টি কক্ষে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থানে বাঁশের বেড়ার একচালা টিনের ঘরে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম আরম্ভ হয়। ১৯৮৮ সালে মাত্র ৬ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করে। বিদ্যালয়ের নিবেদিতপ্রাণ প্রধান শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ছাত্রী সংগ্রহ করেছেন। ওই সময়ে হাওরের তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে কোনো বালিকা বিদ্যালয় ছিল না। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রী সংখ্যা ৬শ’। প্রতি বছরই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার প্রায় শতভাগ। প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২১ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা ও ৫ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর