× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শঙ্কায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩২ ইউনিয়নে ভোট, পালিয়েছে আশরাফুল

বাংলারজমিন

জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৭ নভেম্বর ২০২১, শনিবার

রাত পোহালেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলার ৩২ ইউনিয়নে ভোট। এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ১৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে সরাইলের ৯ ইউনিয়নে ৬৮, নবীনগর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ৬৭ এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৩ ইউনিয়নে ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এছাড়া ৩২ ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ১০১৯ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২৯৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে নবীনগর, সরাইল ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার এসব ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারণার শেষ সময়ে বেড়েছে উত্তাপ-উত্তেজনা। পূর্ব বিরোধে নির্বাচনের মাঠে হত্যা এবং প্রার্থী-সমর্থকদের উত্তেজনাকর বক্তব্যে নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘেœর আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠুু ও শান্তিপূর্ণ করার সকল পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা।
জেলা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে।
নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ মিয়ার সমর্থনে আয়োজিত এক সভায় নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দিলে ৫ লাশ ফেলার হুমকি দেয়া হয়। স্থানীয় লাপাং স্কুল মাঠে গত ২৫শে নভেম্বর রাতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রার্থী ফিরোজ মিয়ার ভাতিজা ও ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রশাসন কাজ করুক বা না করুকÑ নৌকার বিরুদ্ধে যদি একটা ভোটও কাটে, ওই ওয়ার্ডে পাঁচটা লাশ পড়বে ইনশাআল্লাহ্।’ তার ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। চাপাতি ও বল্লম হাতে ধরা আশরাফুলের একটি ছবিও ভাইরাল হয়। এরপরই পুলিশের খোঁজাখুঁজির মুখে পালিয়ে যায় সে। পুলিশ জানায়, তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সহ ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৫শে নভেম্বর নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নে মাসুদ মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করে। ওইদিন সকালে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের ভোরের বাজারে মাসুদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। এরপর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত মাসুদ খাগাতুয়া গ্রামের মঙ্গল মিয়ার ছেলে। সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে কেন্দ্র করেও প্রার্থী-সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। এদিকে রোববারের নির্বাচনের আগে আজ শনিবার সকালে সরাইল, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর থানা কম্পাউন্ডে পুলিশের নির্বাচনী ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। প্যারেডে নবীনগর থানায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সরাইল থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন এবং বাঞ্ছারামপুর থানায় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন প্রধান অতিথি ছিলেন। তারা নির্বাচন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের আহ্বান জানান। জেলা পুলিশ জানায়, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ডিউটি, ৩২টি মোবাইল টিম, ২৭টি স্ট্রাইকিং টিমসহ অন্যান্য ডিউটিতে সর্বমোট ১৪৫০ জন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ৮৩ জন র‌্যাব অফিসার ও ফোর্স, ৩০০ বিজিবি সদস্য, ৩০ জন ব্যাটালিয়ন আনসার এবং ৫৪০৬ জন অঙ্গীভূত আনসার নির্বাচন ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান- নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য আমরা সকলে সচেষ্ট। কোনো অনিয়মের সুযোগ দেয়া হবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর