জনসাধারণের জন্য পাবলিক ক্লাব ও লাইব্রেরির ভবনটি এখন ভূমি অফিসের দখলে। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা ভূমি অফিসের স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার করছেন কর্তৃপক্ষ। ক্লাব ও লাইব্রেরিটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত না করায় সচেতন মহলে বাড়ছে ক্ষোভ। লাইব্রেরির মালামাল, বই সরবরাহসহ তা উন্মুক্ত করার দাবি জানান এলাকাবাসী। জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপজেলা ভূমি অফিস ও চিলমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন স্থানে চিলমারী সাধারণ পাঠাগার ও ক্লাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক, রংপুর মো. মাহে আলম। উদ্বোধনের পর জাঁকজমকভাবে চললেও অব্যবস্থাপনা আর অবহেলার কারণে অবকাঠামো ভেঙে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় ক্লাব ও লাইব্রেরি। পরবর্তীতে তা সংস্কার করা হলেও উপজেলা ভূমি অফিসের সীমানা প্রাচীরে দখল হয়ে যায় এবং বর্তমানে অফিসের স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জনসাধারণের জন্য নির্মিত পাবলিক ক্লাব ও লাইব্রেরিটি ভূমি অফিসের দখলে থাকায় বই প্রেমিকরা হতাশ হয়ে পড়েছে।
এলাকার বয়স্করা জানান, এক সময় উক্ত স্থানে আড্ডা হতো, এলাকার বিভিন্ন বিষয় এবং উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হতো আবার অনেকে বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকতো। তারা আরও বলেন, পাবলিক লাইব্রেরি ও ক্লাব যেখানে উন্মুক্ত থাকার কথা কিন্তু সেটি কীভাবে একটি অফিস দখল করে রাখে। বেশকিছু শিক্ষার্থীরা বলেন, চিলমারীতে পাবলিক লাইব্রেরি আছে তা জানতাম না, এখন শুনলাম, আমরা চাই তা উন্মুক্ত করা হোক। তাহলে আমাদের জন্য উপকার হবে। বিষয়টি দুঃখজনক মন্তব্য করে কলামিস্ট ও সংগঠক নাহিদ নলেজ বলেন, পরিবেশ গড়ে তুলে পাবলিক ক্লাব ও লাইব্রেরিটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হোক। ভূমি অফিসের স্টাফরা বলেন, রুমগুলো পড়ে থাকায় তা আমরা স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার করছি। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।