যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে খুলনা-বরিশাল ভায়া গোপালগঞ্জ টেকেরহাট সড়ক। ৬১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির নির্মাণকাজে টেন্ডার আহ্বান করা হলেও গত ১১ মাসেও ঠিকাদার নিয়োগ করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সড়কে চলাচলকারীরা।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কটি দিয়ে গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে যুক্ত করে বিভাগীয় শহর বরিশালকে। সড়কটির অবস্থা নাজুক হওয়ায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে মানুষের প্রাণহানি। সরজমিন দেখা গেছে, গোপালগঞ্জের হরিদাসপুর থেকে মাদারীপুরের টেকেরহাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কটির অধিকাংশ জায়গায় রাস্তার মাঝখানে ভেঙ্গে গিয়ে তা এখন বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ভেড়ারবাজার, উলপুর, কংশুর, করপাড়া, বৌলতলী, গান্দিয়াশুর, সাতপাড়, বানিয়ারচর, জলিলপাড় ও টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভাঙন চোখে পড়ার মতো। প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ইজিবাইক এবং রিকশা-ভ্যান চলাচল করছে সড়কটি দিয়ে।
স্থানীয়রা বলেন, ইজিবাইক ও ভ্যানে চলাচল করে একদিকে যেমন মাজা পিঠ ব্যথা হচ্ছে অন্যদিকে ১০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা দিতে হচ্ছে। তারপরে আবার নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে সময়ও লাগছে বেশি। সড়কটি নির্মাণকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন বলেছেন, গত ৪/৫ বছর সড়কটির কোনো কাজই করা হয়নি। সে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপরের সারপ্রাইজটা উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। সড়কটি নির্মাণ করতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৬১২ কোটি টাকা ব্যয় ধরে একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী একজন ঠিকাদার একাধিক কাজ পাওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ায় চূড়ান্তভাবে ঠিকাদার নিয়োগে বিলম্ব হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যদি মনে করেন একই ব্যক্তি সড়কটির নির্মাণকাজ করবেন তাহলে যেকোনো সময় আমরা কাজ শুরু করতে পারি। আর যদি মনে করেন পুনরায় আবারো টেন্ডার আহ্বান করবেন তাহলে সড়কটি নির্মাণকাজ করতে কমপক্ষে আরও ৪/৫ মাস সময় লাগবে।