× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডিজিটাল লেনদেনের নথি ও দলিল ‘সাক্ষ্য বই’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বিল পাস

দেশ বিদেশ

সংসদ রিপোর্টার
২৮ নভেম্বর ২০২১, রবিবার

ডিজিটাল লেনদেনের নথি ও দলিল ‘সাক্ষ্য বই’- হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে উপনিবেশিক আমলের আইন বাতিল করে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি: বিল-২০২১’ সংসদে পাস হয়েছে। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠান এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার। গত ১৪ই জুন বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ১৮৯১ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।  সাধরণত: ব্যাংকের লেজার বুক, ক্যাশ বুক এগুলোকে সাক্ষ্য বই বলা হয়। বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেসব রেকর্ড হবে সেগুলোও ‘সাক্ষ্য বই’ হিসেবে আইনে বিবেচিত হবে। ব্যাংকগুলোর লেজার বুক, ক্যাশ বুক, লোন ডেসপাস বুক যা আছে- সবই এর অন্তর্ভুক্ত হবে। বিলে বলা হয়েছে, আইনে বর্ণিত কারণ ছাড়া কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোনো গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করলে তার সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
এ আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আদালতের সম্মতিতে আপসযোগ্য হবে বলে বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিচে কোনো পুলিশ কর্মকর্তার লিখিত প্রতিবেদন ছাড়া আদালত এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করবে না। বিলে তথ্য প্রকাশের অনুমোদিত ক্ষেত্র এবং আদালতের এখতিয়ার সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিশ্বায়নের যুগে দ্রুতগতিতে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের উন্নয়নের ফলে আইসিটি ভিত্তিক ব্যাংকিং এখন অপরিহার্য। অনলাইন ব্যাংকিংসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেনের তথ্যাদি ইলেকট্রনিক ডাটা ডিভাইসে সফ্‌ট কপি হিসেবেও সংরক্ষিত হচ্ছে। ফলে ‘ব্যাংকারস’ বুকস এভিডেন্স অ্যাক্ট-১৮৯১ এর পরিবর্তে আইনটি সময়োপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়ন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর