আরও দুটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জিতে অবসর নিতে চান সানিয়া মির্জা। অন্যদিকে অবসর নিয়ে কিছুই ভাবছেন না শোয়েব মালিক। করাচিতে মালিকের সুগন্ধী ব্র্যান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ দম্পতি শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জা। শোয়েব মালিক ক্রিকেট বিশ্বের বড় তারকা। আর সানিয়া র্যাকেট হাতে মাতান টেনিস কোর্ট। তবে দুজনই এখন আছেন ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে খেলছেন মালিক, সানিয়ার ক্যারিয়ারও প্রায় দেড় যুগের।
তাই স্বাভাবিকভাবেই এখন মালিক বা সানিয়াকে শুনতে হয় অবসরের প্রশ্ন। বিশেষ করে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বয়স ৪০ ছুঁইছুঁই শোয়েব মালিকের অবসর নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনে।
অন্যদিকে ৩৫ বছর বয়সী ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া খেলা ছেড়ে দিতে পারেন শিগগিরই। তবে সানিয়া বলেছেন, ‘অবসরের আগে আমি আরও দুইটি গ্র্যান্ড স্লাম জিততে চাই।’
একই প্রশ্ন রাখা হয় মালিকের সামনেও। তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময়কাল বেঁধে দেননি। বরং জানিয়েছেন, এখনও পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম দলে চান তাকে। এ কারণেই মূলত অবসর নিয়ে কিছুই ভাবছেন না। দলকে আরও সার্ভিস দেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। মালিক বলেন, ‘আমি অবসরের ব্যাপারে একদমই ভাবছি না। এটি শুধুমাত্র আমার একার সিদ্ধান্তও নয়। দলের অধিনায়কও এটি চায়। আমি বাবরের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। সে জানিয়েছে দলের জন্য নতুন খেলোয়াড় তৈরি করতে আমাকে দরকার।’ দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই অর্জন করেছেন মালিক। জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এমনকি টেস্টেও ছিলেন অন্যতম সেরা দলের সদস্য। কিন্তু তার ক্যারিয়ারে আক্ষেপের জায়গা কোনটি?
এই প্রশ্নের উত্তরে মালিক বলেন, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপটি এমন এক শিরোপা যা আমি জিততে চেয়েছিলাম।
কিন্তু পারিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের সদস্য ছিলাম। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে পারিনি।’
মেয়েদের একক গ্র্যান্ডস্লাম টেনিসে সানিয়া মির্জার সেরা নৈপুণ্য ২০০৫ ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ড। তবে নারী দ্বৈতে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার তার। নারী দ্বৈতের সাবেক এক নম্বর খেলোয়াড় সানিয়া মির্জা তিনবারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন (অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ২০১৬, উইম্বলডন ২০১৫, ইউএস ওপেন ২০১৫)। খেলেছেন ২০১১ ফরাসি ওপেনের ফাইনাল। আর মিশ্র দ্বৈতে সানিয়া জিতেছেন ২০০৯ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ২০১২ ফরাসি ওপেন ও ২০১৪ ইউএস ওপেন শিরোপা।