নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকাবাসীর উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী মোশারাফ ও তার বাহিনীর লোকেরা। এ সময় ১০/১২টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করে তারা। এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছেড়ে সন্ত্রাসীরা। হামলায় আহত হয় কমপক্ষে ১৮ জন। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক র্যাব-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনেন। গতকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় চলে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে র্যাব ও পুলিশ। স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, গত ১১ই নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে হেরে যায় রূপগঞ্জের অন্যতম সন্ত্রাসী ও মোশারফ বাহিনীর প্রধান মোশারফ। এরপর থেকে ক্ষোভে এলাকায় আসেনি সে।
গতকাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চনপাড়া বস্তি থেকে কয়েকশ’ ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে নাওড়া গ্রামের নিরীহ মানুষের বাড়িঘরে হামলা চালায় তারা। এ সময় গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুললে মোশা বাহিনীর সঙ্গে তাদের দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা দফায় দফায় গুলি ও ইটপাটকেল ছুড়ে সে এলাকাকে রণক্ষেত্রে পরিণত করে। সংঘর্ষে মিনারুল, ফারুক, এমদাদ, রাসেল, নাঈম, শরিফা, ফুলচান, জহিরা, সাদ্দাম, সুলতান, মাসুদসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়। আহতদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক র্যাব-১ ও ১১ এর সদস্য এবং রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ বলেন, গতকাল সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে উপভ পক্ষের লোকজনকে নিবৃত করার চেষ্টা করি। একপর্যায়ে সংঘাত বড় আকার ধারণ করলে র্যাব এসে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ ঘটনায় এখন অবধি কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।