× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদা জিয়াকে কেন বিদেশ নিতে হবে ব্যাখ্যা দিলেন ফখরুল

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৮ নভেম্বর ২০২১, রবিবার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কেন বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে হবে তার ব্যাখ্যা দিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কেন আমরা দেশনেত্রীর বাইরে চিকিৎসার কথা বলছি, কী কারণে- তা আমাদের সবারই জানা উচিত। বেগম জিয়ার যে অসুখ তা প্রধানত পরিপাকতন্ত্রের। কোন জায়গায় তার রক্তপাত হচ্ছে- এটাকে বের করার    জন্য আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ডাক্তাররা গত কয়েকদিন ধরে চিকিৎসার যে পদ্ধতি আছে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন রকম কাজ করেছেন। কিন্তু একটা জায়গায় এসে তারা আর এগুতে পারছেন না। কারণ, আর সেই ধরনের কোনো টেকনোলজি দেশে নেই, যে টেকনোলজি দিয়ে সেখানে পৌঁছাতে পারেন। যে কারণে চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, দেশনেত্রীকে একটি এডভান্স সেন্টারে নেয়া দরকার। যেখানে এ ডিভাইসগুলো আছে, টেকনোলজি আছে, যন্ত্রপাতিগুলো আছে, যেখানে গেলে তার সঠিক যে রোগ সেই রোগের জায়গাটা তারা ধরতে পারবেন।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী অনেক অসুস্থ।
এখন তার জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে, পরিপাকতন্ত্রের যেখান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেটা বন্ধ করা।
শনিবার রাজধানীর ডিআরইউতে ডা. মিলন দিবসের আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ক্ষমতাসীনেরা বলেন, গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ক্ষমা চাওয়ার লোকটা কে? বর্তমানে জীবিতদের মধ্যে এ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনে খালেদা জিয়ার চেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার কে করেছেন? খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবেন কার কাছে? যারা নিজেরা অপরাধী, যারা বৈধ নয় এবং আইনসিদ্ধ নয়, তাদের কাছে?
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আইনমন্ত্রী কি জানেন না, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হলে সর্বোচ্চ আদালত থেকে চূড়ান্ত রায় হতে হয়। আইনমন্ত্রী কি জানেন না পেন্ডিং মামলায় রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া যায় না? খালেদা জিয়া লড়তে জানেন, ভাঙতে পারেন, কিন্তু দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপস করতে জানেন না। মাথা নত করার জন্য খালেদা জিয়ার জন্ম হয়নি।
গয়েশ্বর বলেন, এখানে আজকে অনেক কথা হলো, বাকি আছে কিছু করার। তিনি উপস্থিত সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, অতীতের আন্দোলন আর এখনকার আন্দোলন এক রকম হবে না। কারণ, প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আধুনিক প্রযুক্তির রোষানলে আন্দোলন-সংগ্রাম দৃশ্যমান হতে পারে না। প্রযুক্তি যেমন কারও জন্য আশীর্বাদ, কারও জন্য অভিশাপও। ছাত্রদের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। নির্ধারিত কোনো ছাত্র সংগঠন আগে তারা যেটা পারতো, বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হয়, বর্তমান ছাত্ররাই পারবে। ছাত্ররা তাদের নিজেদের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে। বাসের চাকায় একজন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর ছাত্ররা মাঠে নেমেছে। হয়তো তাদের সংগঠিত নেতা না থাকলেও চেতনায় তারা ঐক্যবদ্ধ। এ কারণে তারা পারছে। সুতরাং নতুন প্রেক্ষাপটে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
’৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের উদ্যোগে এ আলোচনা সভায় আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ’৯০-এর ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর