× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সতর্কতার নির্দেশ নরেন্দ্র মোদির

প্রথম পাতা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা থেকে
২৮ নভেম্বর ২০২১, রবিবার

দক্ষিণ আফ্রিকা জাত কোভিড ভাইরাস ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সকালের দিকে রটে গিয়েছিল যে, কেরালায় ওমিক্রন পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি  জানান  যে, এখনো ভারতে এই ভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। তবে, এই ভাইরাস ভয়ঙ্কর। কোভিডের ডেল্টার থেকেও এই ভাইরাসের শক্তি বেশি। একে প্রতিরোধের সব চেষ্টা করতে হবে। বিশ্বের দশটি দেশ, বিশেষ করে ইউরোপ আর আমেরিকা  দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ট্র্যাভেল ব্যান জারি করলেও ভারত এখনই তা করছে না বলে জানিয়েছেন মোদি। তবে, বতসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং হংকংয়ের সব আন্তর্জাতিক যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ দিয়েছেন মোদি।
ভারতের সব শহরকে এই ভাইরাস সম্পর্কে সাবধান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, সতর্ক থাকা দরকার যাতে আর কোভিড ছড়াতে না পারে।
এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসব নির্দেশনা দেন। তার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এতে দেশে টিকা প্রয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তারা। বিজ্ঞানীদের অনেকে একে লাল তালিকাভুক্ত করেছেন। এতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত যে সব দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে, সেখানকার যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা যাতে সঠিক ভাবে হয় এবং তাদের স্বাস্থ্যের উপরেও যাতে নজর রাখা হয়, সে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও বিদেশে যাতায়াত আগামী দিনে কতটা শিথিল করা হবে, সেই বিষয়টি আধিকারিকদের পর্যালোচনা করে দেখতে বলেছেন তিনি। সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়ে মোদি বলেন, জেলা স্তরে কোভিড পরীক্ষা এবং নজরদারি বাড়াতে রাজ্যের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করতে হবে। শনিবারের ২ ঘণ্টার বৈঠকে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রমেরও খোঁজখবর নেন তিনি।
বলা হচ্ছে, এই ভ্যারিয়েন্ট প্রচলিত টিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখে। এ কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও অধিক ভয়াবহ লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। এতে বলা হয়, এ সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বোতসোয়ানা, হংকং, ইসরাইল এবং বেলজিয়ামেও। এর আছে কমপক্ষে ৫০ রকম রূপান্তর। এর মধ্যে কমপক্ষে ৩০টিতে আছে স্পাইক প্রোটিনের রূপান্তর। বি.১.১.৫২৯ নামের এই ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর নামকরণ করেছে ওমিক্রন। ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হলো উচ্চ মাত্রায় উদ্বেগ সৃষ্টিকারী শ্রেণি বা ক্যাটাগরি। এ তালিকায় আছে ডেল্টা, আলফা, বেটা, গামা ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু আগের এসব ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন বেশি ভয়ঙ্কর বলে ইঙ্গিত মিলছে। এ জন্য ভারত সরকার শুক্রবার দিবাগত রাতে বলেছে, আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট ভারতে অবতরণ ও ভারত ছেড়ে যেতে পারবে স্বাভাবিকভাবে। তবে যেসব দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হবে তারা পারবে না। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকা, বোতসোয়ানা, ইসরাইল এবং হংকংকে এই তালিকায় রাখা হয়। এর অর্থ হলো পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত শতকরা মাত্র ৭৫ ভাগ যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালিত হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা, বোতসোয়ানা ও হংকং থেকে যাওয়া যাত্রীদের কড়াকড়িভাবে স্ক্রিনিংয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সম্প্রতি ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে, খুলে দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ। ফলে এই ভ্যারিয়েন্ট জনস্বাস্থ্যের বিরুদ্ধে মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর