× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেনীতে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ১৩ পোলিং অফিসার প্রত্যাহার

বাংলারজমিন

ফেনী প্রতিনিধি
২৯ নভেম্বর ২০২১, সোমবার

ফেনীর ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে গতকাল সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরুর পর থেকে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করায় ৪ মেম্বার প্রার্থীসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। একটি কেন্দ্রে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে উত্তর মন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো.০ সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরুর পর কেন্দ্রের আশপাশে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী ৪ মেম্বার প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সকাল ১১টার দিকে উত্তর মন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী আবুল কালাম (মোরগ), শওকত জোবায়ের (আপেল), মো. সোহেল রানা (ফুটবল) ও মো. সেলিমকে (তালা) আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ভোট শুরুর প্রথম ৩ ঘণ্টায় বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জানান, পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ড মধুগ্রাম কেন্দ্রের বুথে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় পোলিং কর্মকর্তা নাসিমা বেগমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ৮টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ছাগলনাইয়ার পাঠানগড় ইউনিয়নের রফিকুল হায়দার চৌধুরী সোহেল, শুভপুর ইউনিয়নে আজিজুল হক মজনু ও পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নে জসিম উদ্দিন ইতিমধ্যে বিনা প্রতিন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অপর ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ২২ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ছাগলনাইয়ার ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন এবং পরশুরামের ২ ইউনিয়নে ৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী লড়ছেন। দুটি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা পদে মোট ৫৬ জন নির্বাচনে লড়ছেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার, এসআই ও এএসআইসহ ৭ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাব, বিজিবি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর