পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নানের স্বাক্ষর জাল করে দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিপি আব্দুল মান্নানের একাধিক স্বাক্ষর করা কাগজপত্র (ফেসবুক) আপলোড করে শোকজ পাওয়া নেতাদের সমর্থকেরা প্রতিবাদের ঝড় তুলছেন। শোকজ পাওয়া নেতারা দাবি করেছেন, যে চিঠির বলে দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের শোকজ করা হয়েছে সেই চিঠিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান স্বাক্ষর করেননি। তার স্বাক্ষর জাল করে আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত-বিএনপি’র একটি অংশ রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের শোকজ করেছেন। শোকজ পাওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন তিনি এ ধরনের কোনো চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন পালোয়ান বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে শোকজ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান বলেন, শোকজের চিঠিতে আমি স্বাক্ষর করেছিলাম কিনা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। তিনি বলেন- বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরে বলতে পারবো। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ১১ শীর্ষ নেতাকে ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ না করার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের বৃহত্তর একটি অংশ ও অঙ্গ সংগঠন।