× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভরা মৌসুমেও সুন্দরবনে পর্যটক নেই

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৯ নভেম্বর ২০২১, সোমবার

 বিশ্বের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন। শীত মৌসুম এলে সৌন্দর্য্য দেখতে প্রতি বছর লাখো পর্যটক সুন্দরবনে ঘুরতে যান। কিন্তু এ বছরের চিত্র ভিন্ন। পর্যটনের ভরা মৌসুমেও সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থানগুলো এখন প্রায় পর্যটকশূন্য। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পাশাপাশি এবার পর্যটন খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটনের ভরা মৌসুম। এ সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা সুন্দরবনে ঘুরতে আসেন।
কিন্তু গত দুই মাসে তেমন পর্যটকের দেখা মেলেনি সুন্দরবনে। জানা যায়, করোনার সংক্রমণরোধে কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটন কেন্দ্রেগুলো খোলা হয়। এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়। ট্যুর ব্যবসায়ী গোলাম রহমান বিটু ও জাহিদ মোল্লা জানান, পর্যটনশিল্প আগের চেয়ে বিকাশিত হয়েছে। গত দুই বছর করোনাকালীন ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই খাতে। তবে বর্তমানে তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মানুষের আয়ের তুলনায় খরচ বেড়েছে। তাই পর্যটনশিল্প কিছুটা হুমকির মুখে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই খাতে নজর দিলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব বলেও জানান তারা। তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে পরিবহন ভাড়া বেড়েছে। পর্যটকরা আগে লঞ্চ ও বোট বুকিং দিলেও এখন বাতিল করেছেন। ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সুন্দরবন দেখতে রাজশাহী থেকে আসা সাজ্জাদুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি বছর পরিবার নিয়ে সুন্দরবনে ঘুরতে আসি। করোনার কারণে গত দুই বছরে আসা হয়নি। এ বছর তিনগুণ বাস এবং বোট ভাড়া দিয়ে এসেছি। করোনা মহামারির আগে শীত মৌসুমে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্র থেকে ৩৫-৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। কিন্তু এ বছর গত দুই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।
পূর্ব সুন্দরবনের বন কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, সম্প্রতি পরিবহন ধর্মঘটের পর তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন ভাড়া বেড়েছে। খরচ বেশি হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসছেন না দর্শনার্থীরা। এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, একদিকে করোনা অন্যদিকে তেলের দাম বৃদ্ধি। এই দুটির প্রভাব পড়েছে পর্যটক খাতে। এ বছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে মনে হয় না। সুন্দরবনে প্রতি বছর গড়ে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে নানারকম উদ্যোগ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর