× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্যাটারদের দিকে তাকিয়ে তাইজুলও

শেষের পাতা

ইশতিয়াক পারভেজ, চট্টগ্রাম থেকে
২৮ নভেম্বর ২০২১, রবিবার

বাংলাদেশ ক্রিকেটে বহুবার দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে। সেখান থেকে বের হয়েও এসেছে। আর এই জেগে ওঠার গল্পে সাগরিকার ভূমিকা যে অনন্য! চট্টগ্রামে এসে টেস্ট, ওয়ানডে দুই ফরমেটেই ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন পথচলার গল্প আছে অনেক। এখানে সাফল্য কম নয়। এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে ৬ ড্র আর ২ জয় টেস্ট ক্রিকেটে। এবার আরেকটি সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। যে পথ দেখিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে ৩৩০ রানে থামিয়ে পরে ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়েছিল পাকিস্তান।
কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪৫ রান তুলে নেয় তারা। তৃতীয় দিন তাই তাদের সামনে ছিল রানের পাহাড় গড়ার হাতছানি। কিন্তু তাইজুল ঘূর্ণিতে তাদের সেই স্বপ্ন অপূর্ণ থাকে। ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। সেই সুবাদে টাইগাররা লিড পায় ৪৪ রানের। কিন্তু এমন দারুণ সুযোগ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ফিকে হতে শুরু করেছে। পাকিস্তানকে বড় লক্ষ্য দেয়ার চ্যালেঞ্জে ৪ উইকেট হারায় মাত্র ২৪ রানে। শেষ বিকালে মুশফিকুর রহীম ও অভিষিক্ত ইয়াসির আলী মিলে মড়ক ঠেকান। স্কোর বোর্ডে ৩৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেন তারা। দিন শেষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ৮৩ রানে। বলার অপেক্ষা রাখে না এখন বাকি ব্যাটারদের হাতেই টাইগারদের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। তাই তাইজুলও তাদের দিকে তাকিয়ে। রাখছেন আস্থাও। তিনি বলেন, ‘জিনিসটা হতাশার মতো করে নিলে হবে না। আমিও নিচ্ছি না। ক্রিকেটে অনেক সময় অনেক রকম হতে পারে। কেউ ইচ্ছে করে আউট হতে চাই না। ফাস্ট ইনিংসেও এমনটা হয়েছিল। আবার কামব্যাক করেছি। আশা করছি আবার কামব্যাক করবো।’
স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের পর দেশের টেস্ট ক্রিকেটে শত উইকেটের মালিক হয়েছেন সাকিব আল হাসান। এরপর তাইজুল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব তাইজুলেরই। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে এক ম্যাচে ১২টি করে উইকেট নিয়েছেন মিরাজ দুইবার ও এনামুল হক জুনিয়র একবার। তাদের পর ১১ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। এবার তার সামনে সুযোগ। গতকাল এক ইনিংসেই নিয়েছেন ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটাররা বড় সংগ্রহ দিতে পারলে আরও একবার পাকিস্তানের বিপক্ষে স্পিন ভেলকি দেখাতে পারেন তিনি। তাই এখন বাংলাদেশ ও তাইজুল তাকিয়ে আছে চতুর্থদিন টাইগার ব্যাটারদের দিকে। চার উইকেট পতনের পর মুশফিক ১২ রান করে দলের আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন। সঙ্গ দিচ্ছেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলী। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮ রান। আজ সকালে যদি তারা নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন, স্কোর বোর্ডে বড় সংগ্রহ হতে পারে। বোদ্ধা-বিশ্লেষকদের ধারণা, অন্তত ২৫০ রানের লক্ষ্য পাকিস্তানকে ছুড়ে দিতে পারলে লড়াই হবে সমানে সমান। কিন্তু চতুর্থদিনের সকালটা পাকিস্তানের পেসারদের মোকাবিলা করাটা যে সহজ হবে না তা অনুমেয়। গতকাল দলের পক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছেন পাক পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি। এ ছাড়াও প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারি হাসান আলী নিয়েছেন এক উইকেট। গতকাল সাদমান ইসলাম ১, মুমিনুল ও নাজমুল হোসেন শান্ত ০ আর সাইফ হাসান অনেক চেষ্টায় ১৮ রান করে আউট হন।
সবশেষ ২০১৮তে সবশেষ চট্টগ্রামের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। এরপর দেশের মাটিতে তিনি আর এই কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। তবে এই বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পালেকেল্লে স্টেডিয়ামে তার শিকার ছিল ইনিংসে ৫ উইকেট। মাঝে লম্বা সময় তিনি উইকেট খরায় ভুগেছেন। সেই সময় বোলিং অ্যাকশনে পরিবর্তন আনেন বৈচিত্র্য আনতে। কিন্তু বর্তমান স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের অধীনে ফিরেছেন তার পুরনো কৌশলে। আর সাফল্যও ধরা দিয়েছে। এনিয়ে তাইজুল বলেন, ‘এটা সত্য আমি পুরনো অ্যাকশনেই সফল। আমি বেটার কিছু করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম। অ্যাকশন চেঞ্জ করা যাবে না বা করে অনেক বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি তা নয়। সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে উপকার পেয়েছি।’
এ ছাড়াও দলের সেরা স্পিনার সাকিবের পরিবর্তে দলের জন্য ভূমিকা রাখতে পেরে দারুণ আত্মবিশ্বাসী তাইজুল। তিনি বলেন, ‘আলোচনা বলতে সাকিব ভাই ছাড়া শুধু আজকে না অনেকগুলা ম্যাচেই খেলেছি। সাকিব ভাই থাকলে রোল একরকম হয়, না থাকলে অন্যরকম। সাকিব ভাই অনেকদিন ধরে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। সফল বোলার। নরমালি যেহেতু সাকিব ভাই নাই সাকিব ভাইয়ের রোলটা আমাকেই প্লে করতে হবে। রান চেকের চাপ ও উইকেট নেয়ার চাপ থাকে। এটাই আমার রোল থাকে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর