এক মা হন্যে হয়ে খুঁজছেন ছেলেকে। ছেলে প্রতিষ্ঠানের পোশাক গায়ে জড়িয়ে করছেন আন্দোলন। কিছুতেই ফিরবে না সে। মা অপেক্ষা করছেন কখন শেষ হবে আন্দোলন।
বৃহৎ ছাত্র আন্দোলনের নজির গড়েছিল শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালে। দাবিটা নিরাপদ সড়কের। তখন আমি নিজেও ছিলাম শিক্ষার্থী। সড়কে গলা ফাটিয়েছি দাবি আদায়ে। চেয়েছিলাম সড়ক ব্যবস্থার সংস্কার।
আজও শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই।
নটর ডেমের শিক্ষার্থীর রক্ত শুকাতে না শুকাতেই ফের রক্তাক্ত রাজপথ। সোমবার রাতেও রাজপথ লাল হয়েছে শিক্ষার্থীর রক্তে। আজ আমি সংবাদকর্মী, শিক্ষার্থীদের দাবি সেই একটাই 'নিরাপদ সড়ক চাই'।
শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের দাবি আংশিক পূরণ হয়েছে আজ। কিন্তুর প্রশ্ন হচ্ছে রক্তের দাগ মুছবে কবে? কবে মা নিশ্চিতে থাকতে পারবেন আমার সন্তান ঘরে আসবে। রান্না করা খাবার খাবে।
যানজটের শহর রাজধানী ঢাকা। এরই মাঝে সড়কে অবস্থান ভোগান্তি বাড়িয়েছে যাত্রীদের। কিন্তু শিক্ষার্থীরাতো যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সড়কে নেমেছে। শিক্ষার্থীরা ২০১৮ ও ২০২১ এ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালো রাজধানীর সড়কের কি বেহাল দশা। কিভাবে চলাচল করে যানবাহনগুলো। রোববার ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে লাইসেন্সবিহীন এক চালককে শিক্ষার্থীরা ধরিয়ে দেবার পর এক পুলিশ সদস্য বলেছিলেন, এ শহরে এতো হাজার হাজার গাড়ি চলে যে সবার লাইসেন্স চেক করা সম্ভব না।
নটরডেম শিক্ষার্থী নাঈমের মৃত্যুর প্রতিবাদে মতিঝিলে বৃহস্পতিবার আন্দোলনে এক শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ডে লিখেছিলেন 'নাঈমের পর কে?' তার জবাব যে এত দ্রুত মিলবে কে জানতো। এত দ্রুত আরেক মায়ের বুক খালি হলো? বুধবার থেকে সোমবার নাঈমের পর রাজপথ লাল হলো দুর্জয়ের রক্তে।