ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। শিকদার পরিবারের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাধারণ মানুষ। অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান জিকু। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, সম্প্রতি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগামী ৫ই জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর হাকিমপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান সাচ্ছু ও অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এ নিয়ে গত রোববার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ৩ পুলিশসহ ২০ জন আহত হন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এরপর থেকেই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। এদিকে এসব ঘটনায় এলাকাবাসী দায়ী করছেন শিকদার পরিবারকে। ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান জিকু, তার ছোট ভাই ওয়াহিদুজ্জামান ইকু, একই পরিবারের সদস্য উপজেলা ছাত্রলীগের বিতর্কিত নেতা শাওন শিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এলাকায় যে সমস্ত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে সবই তার নির্দেশে। চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান সাচ্ছু অভিযোগ করেন, শিকদার পরিবারের কারণে হাকিমপুর ইউনিয়নের নিরীহ মানুষ আজ আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছেন। এলাকায় নীরব চাঁদাবাজি, মারধর, হামলা, ভাঙচুরের সঙ্গে পরিবারটি জড়িত। মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর, আওয়ামী লীগ নেতাকে অকথ্য গালিগালাজ, নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরোধীতা করা ওই পরিবারটির হাত থেকে মুক্তি চায় ইউনিয়নবাসী। নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হওয়ায় তার ছেলে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং সমর্থকদের মারধর, বাড়িতে হামলা ভাঙচুর, লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, হাকিমপুর ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আগামী নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। সেই সঙ্গে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।