কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ও বিজিবি সদস্য নিহতের ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় পুলিশি ভয়ে পশ্চিম দলিরাম গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের নারী-পুরুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। ওই সহিংসতার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ৩ জন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, নির্বাচনের দিন কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে রাত সাড়ে ৯টায় ভোট গণনার পর লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে। বিক্ষুব্ধ লোকজন কর্মরত পোলিং, পিজাইডিং অফিসার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে গেলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় রংপুর ৫৬ ব্যাটেলিয়ন বিজিবির ল্যান্স নায়েক মো. রুবেল মণ্ডল (৩৭) ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনার পর পরেই ওই এলাকা জনশূন্য হয়ে পরে।
কিশোরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়াল জানান, ওই ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে।
ঘটনাটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান ও এডিশনাল ডিআইজি ওয়ালিদ আহমেদসহ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গুলিবিদ্ধ পশ্চিম দলিরাম গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৫), পূর্ব গাড়াগ্রামের মোহম্মদ আলীর ছেলে নুরুন্নবী (৩০) ও একই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে হাদি (২৩) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আশপাশের কয়েকটি গ্রামে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশী হয়রানীর ভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়েছেন এলাকার শত শত মানুষ।