সোমবার রাতে রামপুরা এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় বাস চাপায় নিহত হয় স্কুলছাত্র মো. মাইনউদ্দিন ইসলাম দুর্জয় (১৫)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনকারী ছাত্ররা ৯টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
দুর্জয়ের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের হালুয়াপাড়ায়। এখানে আসলে খালাম্মাদের বাড়িতেই থাকতো দুর্জয়। তাই কিশোর দুর্জয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। ওদিকে সরাইলে পাঁচ খালাম্মার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠছে ওই গ্রামের পরিবেশ। পারিবারিক সূত্র জানায়, দুর্জয়ের পিতা আব্দুর রহমান প্রথমে পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামে থাকতেন।
পরে চলে যান কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বাঘবাড়ি এলাকায়। এক সময় স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ কন্যাসহ ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে ঢাকার রামপুরা এলাকায় ভাড়া বাসায় ওঠেন। ছোট একটি দোকানে চা বিক্রি করেন আব্দুর রহমান। বড় ছেলে মনির হোসেন গাড়ি চালান। রামপুরা একরামুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের মেধাবী ছাত্র দুর্জয় এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিল। সে সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রামপুরা তার ভগ্নিপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিল। বিটিভি রোডের পলাশবাগ এলাকায় অনাবিল পরিবহনের একটি বাস আরেকটি বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে দুর্জয়কে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় দুর্জয়। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল দুপুরে নিহত ছাত্রের লাশ তার বড় ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। নিহতের আপন খালাত ভাই ও ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের ইউপি সদস্য মোসাঃ আমোদা বেগম জানান, জন্মস্থান সরাইলে হলেও তাদের নিজস্ব কোনো বাড়ি নেই। দুর্জয় আসলে ৫-৬ দিন আমাদের বাড়িতেই থাকতো। তাই সরাইলেই তার লাশ দাফন করা হবে। গতকাল রাতে জানাজা শেষে সরাইল বিকাল বাজার এলাকার কবরস্থানে দুর্জয়ের লাশ দাফন করা হয়েছে।