জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। আগামী ৩ ডিসেম্বর ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় আরিফিন শুভর বিপরীতে বড় পর্দায় অভিষেক হতে চলেছে তার। যে কোনো নায়ক-নায়িকারই নিজের প্রথম সিনেমা নিয়ে আলাদা উচ্ছ্বাস কাজ করে। ঐশীর কেমন লাগছে এই মুহূর্তে? মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ খেতাবজয়ী এই সুন্দরী বলেন, কদিন আগেও আমি এক্সাইটেড এবং নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু দু-তিন ধরে কোনো অনুভূতি কাজ করছে না। হয়তোবা বেশি চিন্তা করার কারণে। বেশি টেনশন আর এক্সাইটমেন্টের কারণে আমি কোনো কিছু অনুভব করতে পারছি না।
বুঝতে পারছি না কী হতে যাচ্ছে আমার সাথে।
‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? ঐশী বলেন, যেহেতু আমার প্রথম সিনেমা। অভিজ্ঞতা অন্যরকম ছিল। সাইন করা থেকে শুরু করে পুরো জার্নিটা চিরকালের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো। আমি যখন এই সিনেমাটির কাজ করি তখন খুব বেশি পরিণত ছিলাম না। সানী ভাইয়া, শুভ ভাইয়া আর তারিক আনাম স্যার খুব সাহায্য করেছেন। আর কষ্টের কথা যদি বলি শুভ ভাইয়ের মতো কষ্ট কেউ করেনি এই সিনেমার জন্য। তিনি যে কষ্ট করেছেন তার এক ভাগও করিনি।
সিনেমাটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কতটুকু? এ নায়িকা বলেন, এটা অনেক বড় সাফল্য পাক। যে উদ্দেশ্যে সিনেমাটা বানানো হয়েছে সেটা সফল হোক। এই পর্যায়ে এসে ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমা শুধু ‘মিশন এক্সট্রিম’ টিমের না। কারণ করোনার পর আমাদের ইন্ডাস্ট্রির যে অবস্থা তাতে ‘মিশন এক্সট্রিম’ সফল হওয়া ইন্ডাস্ট্রির জন্য জরুরী। কেন এই সিনেমাটা দেখতে দর্শক হলে যাবে? বিশেষত্ব কী এই সিনেমার?
ঐশী বলেন, বাংলাদেশে অ্যাকশন সিনেমা অনেক দর্শক পছন্দ করে। কিন্তু ওইরকম এক্সপেক্টেশন অনুযায়ী অ্যাকশন সিনেমা তৈরি হয় না বলে দর্শকদের একটা আফসোস আছে। যেহেতু ‘মিশন এক্সট্রিম’ একটা সময়োপযোগী একশন সিনেমা হয়েছে, তাই অবশ্যই এটি দেখতে দর্শক হলে যাবে।