এবার নাইজেরিয়ায় শনাক্ত হয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। দু’জন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। তারা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত সপ্তাহে দেশটিতে ফিরেছেন। এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন করোনার টিকা প্রস্তুতকারক বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উগুর সাহিন বলেছেন, টিকা নেয়া ব্যক্তিদের ওমিক্রন হয়তো আক্রান্ত করতে পারে। তবে ভয়াবহ অসুস্থতা সৃষ্টি করবে না বলে তারা নিরাপদেই থাকবেন। অন্যদিকে মার্ক (গবৎপশ)-এর মুখে খাওয়ার পিল নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টাদের একটি প্যানেল সংকীর্ণভাবে এই পিলকে সমর্থন দিয়েছেন। এ সপ্তাহের শেষের দিকে এই পিল অনুমোদন পেতে পারে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
ওদিকে ব্রাজিলে প্রথমবারের মতো দু’জনের দেহে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে। লাতিন আমেরিকার মধ্যে এটাই সেখানে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ। বিখ্যাত আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ওই দুই ব্যক্তির নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। তা আরো বিশ্লেষণের জন্য গবেষণাগারে পাঠানো হবে।
এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এর ক্ষতিকর দিক এবং সংক্রমণের মাত্রা জানতে প্রতিযোগিতা করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে আল জাজিরা বলছে, এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথমে কোথা থেকে ছড়িয়েছে তা এখনও অস্পষ্ট। কিন্তু বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে ভ্রমণে বিধিনিষেধ দিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাওয়া পর্যটকদের ক্ষেত্রে তা আরো কড়াকড়ি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা বিষয়ক কর্মকর্তা ড. নিকসি গুমেডে-মোলেতসি বলেছেন, সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া সমস্যার সমাধান নয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মহামারি বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি জনগণের প্রতি টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যারা টিকা নিয়েছেন তাদেরকে বুস্টার ডোজ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি মুখে মাস্ক পরায় উৎসাহী করেছেন। জনার্কীর্ণ স্থান এবং কম বাতাস চলাচল করে এমন স্থান এড়িয়ে চলতে বলেছেন।
এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর ফ্লাইট কমপক্ষে শনিবার পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বর্ধিত করেছে ফ্রান্স। এ কথা বলেছেন ইউরোপিয়ান সম্পর্ক বিষয়ক ফরাসি মন্ত্রী ক্লেমেন্ট বিউনে।