কানাইঘাটে গাছবাড়ি বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে পুরুষ ও মহিলা বাবুর্চির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে স্থানীয় আনন্দ কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে; কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। লাশ উদ্ধার হওয়া দুইজনের মধ্যে রয়েছেন উপজেলার গাছবাড়ি নয়াগ্রামের মৃত রহমত উল্ল্যাহের ছেলে সোহেল, ওসমানীনগর উপজেলার তাহেরপুর গ্রামের সালমা বেগম। এ ঘটনায় বিলাল উদ্দিন নামে একজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, কানাইঘাটের গাছবাড়ি বাজারের আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে আজ একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সোহেল ও সালমা এবং তাদের আরেক সহযোগী বাবুর্চি রান্নার কাজে ছিলেন।
রাতে গরু জবাই করে মাংস কাটাকাটি শেষ করে খাবার খেয়ে ২টার দিকে সেন্টারের একটি কক্ষে ঘুমাতে যায়। সেন্টারের নিচ তলায় কনে পক্ষের লোকজনও শুয়ে ছিলেন। সকালে রান্নার জন্য ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে রান্নাঘরের একটি ফাঁক দিয়ে শিশুকে প্রবেশ করিয়ে দরজা খুলে দেখা যায় সবাই অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। পুলিশ তিনজনকে অচেতন অবস্থায় কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল ও সালমাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক জানিয়েছেন, সকালে ডাকাডাকি করে সাড়া-শব্দ না পেয়ে ঘরের একটি ফাঁক দিয়ে শিশুকে প্রবেশ করে দরজা খুলে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।