সন্তান হত্যার বিচার দাবিতে সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দরিদ্র ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মো. আবু সাইদ ও তার স্ত্রী নাছরিন সুলতানা। গতকাল দুপুরে প্রেস ক্লাব ভবনে নিহত যুবক সাজ্জাদ হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের মামী রেশমী আক্তার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৮ই আগস্ট নুরু মুন্সী ও আব্দুল মান্নান পাইনার নেতৃত্বে দিয়ার ধানগড়া মহল্লাবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সয়াগোবিন্দ মহল্লাবাসীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় সাজ্জাদ হোসেন ওষুধ আনতে যাওয়ার পথে কাউন্সিলর ফাহিম মোল্লার নির্দেশে সন্ত্রাসী সোহাগ গং তাকে ধারালো ফালা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ৩০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলাকে ধামাচাপা দিতে বাদীর পরিবার ও গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে চারটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এদিকে আমাদের দায়ের করা হত্যা মামলায় অনেক আসামি গ্রেপ্তার থাকলেও তাদের রিমান্ডে না নিয়ে জামাই আদরে রাখা হয়েছে। সোহাগ গংয়ের বিরুদ্ধে আরও দু’টি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সোহাগ তার আপন ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে এবং ২০১৫ সালে সয়াগোবিন্দ গ্রামের ইমরান হোসেন নামে আরও এক যুবককে হত্যা করেছিল।
সব সময় ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে নিহত সাজ্জাদের বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ছাড়া কেউ স্বজন হারানোর বেদনা বোঝেন না। তাই আপনার কাছে দাবি আমাদের সন্তান হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে স্থানান্তর করে হত্যাকারীদের ফাঁসি দেয়া হোক। সংবাদ সম্মেলনে সয়াগোবিন্দ মহল্লার বুদ্দু শেখ, নওশের আলীসহ নিহত সাজ্জাদ হোসেনের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।