অনন্য মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নোভাক জকোভিচ। মাত্র একটি শিরোপা জিতলেই সার্বিয়ান টেনিস তারকা বনে যাবেন সর্বোচ্চ ২১টি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। নতুন বছরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়েই রেকর্ড গড়তে পারেন জকোভিচ। তবে বাদ সেধেছে করোনার টিকা! ভ্যাকসিনেশনে জকোভিচের অনীহাই মূলত বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। জকোভিচের বাবার স্রদিয়ান জকোভিচের অভিযোগ, তার ছেলেকে করোনার টিকা নিতে রীতিমত ‘ব্ল্যাকমেইল’ করা হয়েছে। তবে দাবিটি অস্বীকার করেছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ।
জকোভিচ করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন কি না, তা পরিষ্কার করে জানাননি। স্রদিয়ান জকোভিচ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘টিকা নেয়ার নিয়মটি বাধ্যতামূলক হওয়ায় জকোভিচ সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলবে না। তবে সে অবশ্যই সেখানে খেলতে চায়।
কিন্তু সেটা ঘটবে কি না, তা জানি না। এমন ব্ল্যাকমেইল করার মতো পরিস্থিতিতে তা হয়তো হবে না।’
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রধান ক্রেগ টিলে গত মাসে জানিয়েছিলেন, বছরের এই প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া সব খেলোয়াড়ের জন্য টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আগামী বছরের ১৭ই জানুয়ারি শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।
ভিক্টোরিয়া রাজ্যের (যেখানে গ্র্যান্ডস্লাম হয়) ক্রীড়ামন্ত্রী মার্টিন পাকুলা খেলোয়াড়দের টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক টেনিস খেলোয়াড় কিংবা যেকোনো ক্রীড়াবিদ হিসেবে এখানে এলে তাকে বরণ করে নেয়ার দায়িত্ব আমাদের্য। এ কারণে আমরা আন্তর্জাতিক টেনিস খেলোয়াড়দের বলছি, ভিক্টোরিয়া রাজ্যের বাসিন্দারা যে নিয়ম মেনেছে, আপনারাও তা মেনে নিন।’
স্রদিয়ান জকোভিচের কথার পৃষ্ঠে মার্টিন পাকুলা বলেন, ‘এটা ব্ল্যাকমেইল নয়, ভিক্টোরিয়া রাজ্যের নাগরিকরা যেন নিরাপদ থাকে, সেটা নিশ্চিত করা।’
দুর্দান্ত একটি বছর কাটিয়েছেন নোভাক জকোভিচ। ২০২১ সালে সার্বিয়ান টেনিস তারকার ঝুলিতে গিয়েছে একে একে অস্ট্রেলিয়া ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন, উইম্বলডন। তবে ইউএস ওপেনে দানিল মেদভেদেভের কাছে হেরে ক্যালেন্ডার স্লামের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয় জোকারের, একই সঙ্গে অল্পের জন্য হতে পারেননি সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। নতুন বছরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিততে পারলে রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালকে পেছনে ফেলে এককভাবে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক হবেন তিনি। টেনিস বিশ্বের তিন রাজার ঝুলিতেই সমান ২০টি করে গ্র্যান্ডস্লাম রয়েছে।