অপরাধী চক্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এমন খবর আগেই পৌঁছেছে পর্তুগিজ সুপারস্টারের কানে। যেকারণে সাম্প্রতিক সময়ে নিজের নিরাপত্তা জোরদার করেছেন রোনালদো। মৌসুমের শুরুতে ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন আফগানিস্তানের দুই যমজ যোদ্ধা- সের্জিও রামালেইরো ও জর্জ রামালেইরোকে। তবে বডিগার্ড যমজ সহোদরের বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ উঠেছে। পর্তুগালে অবৈধভাবে কাজ করছেন তারা।
গত আগস্টে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরেন রোনালদো। তারপর দু’জনকে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি। সেপ্টেম্বরে চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচ খেলতে রোনালদো সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার সময় প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের নজরে আসে তার দুই বডিগার্ড।
পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম অবজারভাদরের খবর, অবৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে সের্জিও ও জর্জের বিরুদ্ধে।
অবজারভাদর জানায়, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর এই কাজ তারা পুলিশের অনুমতি ছাড়াই করায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়া লাগতে পারে। পুর্তাগল পুলিশ বিভাগে ফেরার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পর্তুগাল পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্র বৃটিশ সংবাদমাধ্যম মিররকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় এখন কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’
রামালেইরো যমজ ভাই আফগানিস্তানে যুদ্ধ করার আগে পর্তুগালের পুুলিশ বিভাগের সদস্য ছিলেন। পুলিশে থাকতে বিচারক ও রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তারা।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা রোনালদোর দেহরক্ষীর চাকরি পাওয়া এই দুই ভাইকে অবৈতনিক ছুটিতে যেতে বলেছিল পর্তুগিজ পুলিশ বিভাগ। তাদের অন্য কোনো লক্ষ্য থাকলে তাতে মনোযোগ দেয়ার কথা বলা হয় পুলিশ বিভাগ থেকে। এরপরই রোনালদোর ডাক পান দুই ভাই।
পর্তুগিজ র্সেলিব্রিটি ‘ফ্লাশ’ জানিয়েছে, সের্জিও ও জর্জের আরও এক ভাই আছে। নাম আলেক্সান্দ্রো রামালেইরো। তিনি এখনো পুলিশে কর্মরত। তিনজন একই সঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন।