চট্টগ্রাম টেস্টে ম্যাচসেরা হয়ে পাকিস্তানি ব্যাটার আবিদ আলী বলেন, ‘আমার পারফরম্যান্সের কৃতিত্বটা পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটকেই দিতে হবে।’ আবিদের মুখে ঘরোয়া ক্রিকেটের বন্দনার কারণটাও স্পষ্ট। দীর্ঘ ১৪ বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্বাচকদের নজরে পড়েন তিনি।  
২০১৯ সালে ৩১ বছর বয়সে পাকিস্তান টেস্ট দলে সুযোগ পান আবিদ আলী। ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতাপশালী ব্যাটার হয়েও কেন আরও আগে নির্বাচকদের নজরে আসেননি আবিদ? পিসিবির পাইপলাইনে দুর্দান্ত সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি নাকি আবিদের প্রতি অবহেলা?
বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে আবিদের ব্যাট থেকে আসে ২২৪ রান। প্রথম ইনিংসে দারুণ সেঞ্চুরির (১৩৩) পর দ্বিতীয় দফা ব্যাটিংয়ে নেমে করেন ৯১ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি হাঁকান আবিদ আলী। করাচিতে নিজের দ্বিতীয় টেস্ট ও তৃতীয় ইনিংসেই খেলেন ১৭৪ রানের এক ইনিংস। ১৫টি টেস্ট খেলে ২৫ ইনিংসে ৪টি শতক হাঁকিয়েছেন তিনি, হাফসেঞ্চুরি রয়েছে ৩টি। ৪৯.৬০ গড়ে আবিদের সংগ্রহ ১ হাজার ১৪১ রান। চলতি বছরের মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে অপরাজিত ২১৫ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ব্যাটার হিসেবে নিজের যোগ্যতার বড় প্রমাণ দিয়েছেন আবিদ। অভিষেকের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে আলো ছড়িয়েছেন আবিদ আলী। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কায়েদে আজম ট্রফিতে তার অভিষেক হয়। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ইসালামাবাদের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের একটি ইনিংসের পুরো সময় ব্যাটিংয়ের রেকর্ড আছে তার। সে ম্যাচে তিনি করেছিলেন অপরাজিত ২৩১। কিছুদিন পর আরও একটি ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২৪৯ রানের একটি ইনিংস। ১২৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪১.৩১ গড়ে আবিদ আলী করেন ৮ হাজার ৮০০ রান। রয়েছে ২৫টি শতক ও ৩৫টি হাফসেঞ্চুরি।
আরও একটি অনন্য রেকর্ড রয়েছে আবিদ আলীর। টেস্ট ও ওয়ানডে- উভয় ফরম্যাটের ক্রিকেটে নিজের অভিষেকে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দেখানো একমাত্র খেলোয়াড় আবিদ আলী। তার ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি দুবাইয়ে, শক্তিধর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।