সম্প্রতি ব্যাট হাতে ঠিক চেনাছন্দে ছিলেন না লিটন কুমার দাস। যে কারণে জায়গা হারান ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে। অবশেষে ব্যর্থতার বৃত্ত ভেদ করেছেন লিটন, পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে হাঁকান ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আর দ্বিতীয় ইনিংসে হাঁকান ফিফটি। অনবদ্য পারফরম্যান্সের সুবাদে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ২৪ ধাপ উন্নতি করেছেন লিটন। আর সেরা বিশে জায়গা করে নিয়েছেন মুশফিকুর রহীম।
গতকাল র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করে আইসিসি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান, ভারত-নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় সম্পন্ন হয় নতুন র্যাঙ্কিং। সেখানে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ২৪ ধাপ এগিয়ে ৩১তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন লিটন।
যা বাংলাদেশি এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের ক্যারিয়ার সেরা। প্রথম ইনিংসে ফিফটির সুবাদে ৩ ধাপ এগিয়ে সেরা বিশে জায়গা করে নিয়েছেন মুশফিক।
পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হেরে যাওয়া ম্যাচের প্রথম ইনিংসে যখন ৪৯ রানে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের, তখন খাদের কিনারায় থাকা দলের হাল ধরেন লিটন-মুশফিক। পঞ্চম উইকেটে তারা গড়েন ২০৬ রানের জুটি। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে লিটন খেলেন ১১৪ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে লিটনের সংগ্রহ ৫৯ রান। প্রথম ইনিংসে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৯১ রান।
চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মুমিনুল হক। দুই ইনিংসে রান করেছেন যথাক্রমে ৬ ও ০। হতাশাজনক পারফরম্যান্স টাইগার অধিনায়ককে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৫ ধাপ নামিয়ে দিয়েছে। মুমিনুল রয়েছেন ৩৫তে। র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন ইংল্যান্ডের জো রুট।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনার ৭ উইকেট নেন ১১৬ রান দিয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে যা সেরা বোলিং। দ্বিতীয় ইনিংসেও এক উইকেট নেন তাইজুল। দুর্দান্ত বোলিংয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ২৬ থেকে ২৩-এ উঠে এসেছেন তিনি। অফ স্পিনার মিরাজ দুই ধাপ পিছিয়ে এখন ২৬ নম্বরে। ৬ ধাপ নেমে আবু জায়েদ রাহীর অবস্থান ৬৭তম।