কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। এ সময় ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শাখাওয়াত হোসেন ওরফে জুয়েল (৪৮) নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার জুয়েল ওই গ্রামের মো. দোলোয়ার হোসেন মজুমদারের ছেলে। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম. তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তার জুয়েলের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলবার, ২ দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি শাহ আলমের নেতৃত্বে কিলিং মিশনে এ দুটি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। শাহ আলম ঘটনার পরদিন রাতে জুয়েলের নাঙ্গলকোটের গান্দাচি গ্রামের বাড়িতে যায়। ওই রাতেই শাহ আলম কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জুয়েলকে নিরাপদে রাখতে বলে।
পরদিন রাতে অস্ত্র দুটি জুয়েলের হেফাজতে রেখে পরের দিন সকালে শাহ আলম তাদের বাড়ি থেকে অজ্ঞাতনামা স্থানে চলে যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহমেদ আরও জানান, অবৈধ অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল ও পলাতক আসামি শাহ আলমের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার, জেলা ডিবির ওসি সত্যজিৎ বড়ুয়া, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আন্ওয়ারুল আজিম, অভিযানে অংশ নেয়া জেলা ডিবি পুলিশের এসআই পরিমল চন্দ্র দাশ।