মানিকগঞ্জে শহিদ (২৭) নামের এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিতে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই মামলায় আরও ৪ জনকে যাবজ্জীবন ও দুইজনকে খালাস দেন আদালতের বিচারক। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ উৎপল ভট্টাচার্য্য এই রায় দেন। এ সময় একই মামলায় আরও ৪ জনকে যাবজ্জীবন ও ২ জনকে খালাস দেন আদালতের বিচারক। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শাহিন আলম ঢাকার ধামরাই উপজেলার গোয়ারীপাড়া এলাকার মৃত আহসান উদ্দিনের ছেলে। আর ভিকটিম শহিদ (২৭) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার খোদাবক্স আকন্দের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শহিদুল ইসলাম স্বাধীনের ছেলে সাহেদ (২৫), হযরত আলীর ছেলে রাজা মিয়া (২৫), সামছুল হক বেপারীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস এবং মিহির লালের ছেলে বিষ্ণু সুইপার।
উপরোক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পি.পি এডভোকেট মথুর নাথ সরকার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, ভিকটিম শহিদ ও আসামি শাহীন আলম মিলে প্রিয় বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন। ওই এনজিও’র চেয়ারম্যান ছিলেন শহিদ। ওই এনজিওতে ১০ লাখ টাকা অনুদান আসে। এই টাকাকে কেন্দ্র করে ২০০৬ সালের ২০শে মে রাতে সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের বেতুলিয়া এলাকায় প্রিয় বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান শহিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নেয় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা তাদের জবানবন্দিতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলায় মোট ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামিপক্ষে একজনের সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট অরবিন্দ পোদ্দার এবং দেওয়ান মো. মিজানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পি.পি এডভোকেট মথুর নাথ সরকার। রায় প্রদানের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহিন আলম ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আরও দুই আসামি ও খালাস হওয়া এক ব্যক্তি পলাতক ছিলেন।